১. ধীরে খান। এতে লেপটিন হরমোন নিঃসরণের জন্য পর্যাপ্ত সময় আর সুযোগ পাবে। তাতে আপনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন। আর যেটুকু খাবেন, সেটুকুই শরীরে কাজে দেবে। খাবারের অপচয়ও হবে না। যথাসম্ভব চিবিয়ে চিবিয়ে খান।
২. অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট বা যা কিছু ডিপ্রেশন বা হতাশার বিরুদ্ধে কাজ করে, তার ভেতর অন্যতম হলো ব্যায়াম। নতুন বছরে নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। বিশেষ করে কার্ডিও আর ওয়েট ট্রেনিংয়ের মতো ভালো বিনিয়োগ আর হয় না। কিছু না হলেও প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটুন।
৩. অতিরিক্ত ফল খাওয়া বলে কিছু নেই। আপনি যতই মৌসুমি ফল খান না কেন, তা অতিরিক্ত নয়। যত পারুন (পাকস্থলীর ধারণক্ষমতা বুঝে) ফল খান। ফল খাওয়া বাড়ান।
৪. চিনি খেলে মোটা হবেন, এটা একটা মিথ। তবে লবণ, চিনি, তেল, সাদা আটা—এগুলো যত কম খাবেন, ততই ভালো। এদিকে দুধ চা, কফির চেয়ে পারলে ব্ল্যাক কফি, গ্রিন–টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এক দিন, দুই দিন, এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ করে এক মাস চেষ্টা করুন। দেখবেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তখন আর দুধ-চিনি দিয়ে চা-কফি খেতে ভালো লাগবে না।
৫. চট করে স্ট্রেস কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় ‘কোল্ড শাওয়ার’। তবে এই শীতে আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল সারবেন কি না, সেটা আপনার সিদ্ধান্ত।
৬. প্রতিদিন ডিম খান। বলা হয়, ‘এগস আর সুপারফুড’।
৭. আপনাকে কেমন দেখাবে, তা নির্ভর করে খাবারের কোয়ান্টিটি বা পরিমাণের ওপর। অন্যদিকে আপনি কী অনুভব করছেন, তা নির্ভর করে খাবারের কোয়ালিটি বা কী খাচ্ছেন, তার ওপর।
৮. রাতে কম ঘুমালে দিনের বেলা ‘হাঙ্গার হরমোন’–এর নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। তাই আপনি যদি ডায়েট করতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত ঘুমান।
৯. তাড়াতাড়ি ঘুমানো আর সকালে ওঠার ওভ্যাসের মতো ভালো অভ্যাস আর নেই। ১০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা সকালের রোদ গায়ে মাখুন। সূর্যের আলো আপনার শরীর আর মনের জন্য সবচেয়ে বড় সাপ্লিমেন্ট।
১০. যত রকম ডায়েট আছে তার ভেতর সেরা হলো ‘হাই প্রোটিন ডায়েট’। রাতে খাওয়ার পর ব্রাশ করুন। দেখবেন খাওয়ার পর অন্য কিছু খাওয়ার ‘ক্রেভিংস’ গায়েব হয়ে গেছে। পরিমিত খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম আর ব্যায়াম—স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য এই তিনের বিকল্প নেই।
সূত্র: গ্রোথ মাইন্ডসেট টিপস
সূত্র : প্রথম আলো
Leave a Reply