হাঁটাহাঁটি সহজ ব্যায়াম। হাঁটতে বাড়তি অনুষঙ্গের প্রয়োজন নেই। কোনো খরচও নেই। শুধু সদিচ্ছাই জরুরি। হয়তো রোজই ভাবেন, ‘কাল থেকে হাঁটব’। কিন্তু এই ‘কাল’ আর কোনো দিনও আসে না। ইচ্ছায় ঘাটতি পড়ে নানা কারণে। তার একটি অজুহাত—ক্লান্ত লাগছে, অফিসে প্রেজেন্টেশন ছিল, একটা অনুষ্ঠানে যেতে হয়েছে, হাঁটার সঙ্গী নেই ইত্যাদি। এসব অজুহাত দূরে রাখুন। বরং মনে রাখুন—হাঁটলে ক্যালরি পুড়বে, বাড়তি মেদ ঝরবে, হাড় ও অস্থিসন্ধি সুস্থ থাকবে, স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমবে, রক্তচাপ ও রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নেই, তাঁদের এসব রোগের ঝুঁকি কমবে, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে, ঘুম ভালো হবে, মন ভালো থাকবে। এই ইতিবাচক বিষয়গুলো ভেবে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করুন। তাই আজই শুরু করে দিন হাঁটার প্রস্তুতি।
জামা-জুতা ঠিকঠাক
আরামদায়ক পোশাক ও জুতা পরে হাঁটুন। ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিন। জুতা কেনার সময় খেয়াল রাখুন, যাতে তা ভালোভাবে ‘ফিট’ করে পায়ে। জুতার ভেতর পায়ের আঙুলগুলো যথেষ্ট নড়াচড়ার মতো জায়গা চাই; তবে সেটি যেন এমনটাও না হয়, যাতে আঙুল একেবারে ছড়িয়ে পড়ে। পানিরোধী ও নমনীয় জুতা ভালো।
সময় ঠিক রাখুন
সকালে হাঁটার পর অফিসে যাবেন নাকি হাঁটতে হাঁটতেই অফিসে যাবেন? হাঁটার পর ‘কুল ডাউন’ করার সময় বা পোশাক পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন তো? না কি একেবারে ফেরার পর হাঁটবেন? সবদিক বিবেচনা করে সুবিধাজনক সময়টি বেছে নিন। ভোরের বিশুদ্ধ হাওয়ায় শরীরচর্চার সময় পাচ্ছেন না বলে যে শরীরচর্চাই করবেন না, এমনটা যেন না হয়। যেকোনো সুবিধাজনক সময় ঠিক করুন।
বন্ধুর সঙ্গে হাঁটতে পারেন। পোষা কুকুর কিন্তু হাঁটার দারুণ সঙ্গী। অভ্যাস হয়ে যাওয়ার পর হাঁটার সময় হলেই সে মায়াময় চোখে তাকিয়ে থাকবে। তাকে ‘না’ করবেন কী করে?
ছোট ছোট লক্ষ্য
অনভ্যস্ত হলে অল্পেই হাঁপিয়ে উঠতে পারেন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটতে কষ্ট হলে ১০ মিনিট করে হাঁটুন, রোজ না পারলেও এক দিন অন্তর। দ্রুত হাঁটতে না পারলে আস্তে-ধীরেই শুরু হোক। তবু শুরুটা তো হলো। ধীরে ধীরে সময় ও গতি বাড়ান (প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৫ মিনিট করে সময় বাড়াতে পারেন)। এভাবেই একসময় সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে মাঝারি মাত্রার শরীরচর্চার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন। বিশ্বাস রাখুন। কতটা হাঁটলেন, যন্ত্রে হিসাব রাখতে পারেন। হাঁটার পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
সূত্র : প্রথম আলো
Leave a Reply