জন্মনিয়ন্ত্রণের অনেক পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হলো জন্মনিরোধক বড়ি। বাজারে প্রয়োজন ভেদে বিভিন্ন ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি রয়েছে যেমন: কম্বাইন্ড জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, মিনি পিল, ইমার্জেন্সি পিল।
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বড়ি ব্যবহারের আগে জেনে নিন কিছু বিষয়:
যাঁদের জন্য উপযুক্ত
নতুন বিবাহিত দম্পতি, যাঁরা একটি সন্তান জন্মের পর দুই থেকে তিন বছর সন্তান নিতে আগ্রহী নন। তাঁদের জন্য সবচেয়ে ভালো।
যাঁরা নিতে পারবেন না
যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মাইগ্রেন, পিত্তথলির সমস্যা, রক্তে চর্বি বেশি। ধূমপায়ী এবং বয়স ৪০–এর ঊর্ধ্বে।
খাবার নিয়ম
সাধারণত পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে শুরু করতে হবে। প্রতিদিন একটি করে বড়ি খেতে হবে। মনে রাখার সুবিধার্থে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়া উত্তম।
সাধারণত একটি প্যাকেটে ২১টি হরমোন পিল থাকে। মাসের হিসাব ঠিক রাখার সুবিধার্থে সাতটি আয়রন পিল যোগ করা হয়ে থাকে। পুরো পাতা শেষ হওয়ার পর
পরবর্তী মাসিকের প্রথম দিন থেকে নতুন পাতা শুরু হবে।
ভুল হলে করণীয়
কোনো কারণে কোনো বড়ি খেতে ভুলে গেলে যখন মনে পড়বে তখন খেয়ে ফেলতে হবে এবং নির্ধারিত দিনের বড়ি খেতে হবে নির্ধারিত সময়।
তবে এক মাসে দুই থেকে তিনবারের বেশি ভুল হলে ওই মাসে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কনডম ব্যবহার করতে হবে, নয়তো গর্ভধারণের আশঙ্কা থাকে।
ডা. নূরুন নাহার: স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সূত্র – প্রথম আলো
Leave a Reply