সব কাজের নির্দিষ্ট সময় আছে। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এ যুগে এখন দিন আর রাতের পার্থক্যই অনেকটা ঘুচে গেছে। এর ভেতরেও ‘গ্রোথ মাইন্ড সেট টিপস’ সাতটি কাজের তালিকা দিয়েছে, যেগুলো আপনি সন্ধ্যা সাতটার পর না করাই ভালো। এগুলো মানবেন কী মানবেন না, সেটা নিতান্তই আপনার ব্যাপার। তবে জেনে রাখতে তো আর দোষ নেই।
১. সন্ধ্যা সাতটার পর কোনো সিরিয়াস আলোচনায় ঢুকবেন না। সন্ধ্যা সাতটার পর যেমন চা, কফি, ভারী খাবার খাওয়া উচিত নয়, ভারী আলাপেও যাওয়া উচিত নয়। কেননা, সেই আলাপ রাত কয়টায়, কোন অবস্থায় গিয়ে শেষ হতে পারে, এর কোনো ঠিক নেই। জরুরি আলাপগুলো সকালে বা বিকেলে সেরে ফেলুন। রাতে হালকা খাবার খেতে খেতে হালকা গল্পগুজব করুন।
২. সন্ধ্যা সাতটার পর যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। পারতপক্ষে ঘুমের বিছানায় মোবাইল নিয়ে যাবেন না। কেননা মোবাইল, ল্যাপটপ বা টেলিভিশনের নীল আলো আমাদের ঘুমের শত্রু। আর শারীরিক, মানসিকভাবে সুস্থ্ থাকার জন্য রাতের আট ঘণ্টা ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
৩. সন্ধ্যা সাতটার পর কোনো ব্যায়াম নয়। তবে এমনি ঘুমানোর আগে হালকা মেডিটেশন করতে পারেন। তবে কঠিন শারীরিক পরিশ্রম হয়, এমন কোনো কিছু না করাই ভালো।
৪. সন্ধ্যা সাতটার পর কোনো ভারী খাবার নয়। হালকা কিছু খান। সবজি, ডাল, রুটি, সামান্য ভাত—এ রকম সহজপাচ্য খাবার খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপও রাতের জন্য খুব ভালো। বিভিন্ন ফলের সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। খেতে পারেন দই বা ফলের জুস। রাতে ভারী খাবার খেলে হজমে গোলযোগ দেখা দিতে পারে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৫. সন্ধ্যা সাতটার পর কোনো ক্যাফেইন নয়। যদিও ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে, অলিগলিতে চা, কফি বা ক্যাফেইনভিত্তিক আড্ডা শুরুই হয় সন্ধ্যা থেকে। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
৬. সন্ধ্যা সাতটার পর স্ন্যাকস বা নাশতা হিসেবে ফ্যাটি খাবার খাবেন না। যেমন এক্সট্রা চিজি বার্গার, পাস্তা, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি। এ–জাতীয় খাবার খাওয়ার পর শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়। আর কমপক্ষে চার ঘণ্টা পর ঘুমাতে হয়। একান্তই যদি খেতে ইচ্ছা করে, বিকেলে খান। তারপর হেঁটে বাড়ি ফিরুন।
৭. কখনো হতাশা বা দুশ্চিন্তা নিয়ে বিছানায় যাবেন না। জীবনকে ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে দিনের শেষভাগে বা সূর্য ডুবে যাওয়ার পর কোনো নেতিবাচক চিন্তা নয়। কোনো একটা ইতিবাচকতা দিয়ে, জীবনে ঘটা যেকোনো ভালো ঘটনার জন্য জীবনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঘুমাতে যান।
সোর্স : প্রথম আলো
Leave a Reply