গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনের অন্যতম সেরা সময়। একসঙ্গে এত বিচিত্র অনুভূতির ঢেউ সামলানোর অভিজ্ঞতা অন্য কোনো সময় হয় না। আশপাশের সবার আচরণও যেন একটু বেশিই ভালো হয়ে যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ সময় ডায়েট ভুলে আপনি যা খুশি তা-ই (স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়িয়ে—যেমন অ্যালার্জি থাকলে এমনিতেই ওই জাতীয় খাবার খেতে পারবেন না) যত ইচ্ছা তত খেতে পারেন। যা খেলে, যা করলে আপনার ভালো লাগে, আপনি সেগুলোই খাবেন, সেগুলোই করবেন। এই স্বাধীনতা জীবনের অন্য কোনো পর্যায়ে বিশেষ পাওয়া যায় না। এ সময় নানা কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা উঁকি দেয় মনের ভেতর। তবে একটি কাজ আপনি নিশ্চিন্তে করতে পারেন। তা হলো ফল খাওয়া। গর্ভাবস্থায় অনেকে আনারস, কামরাঙা, কাঁচা পেঁপে, অতিরিক্ত আঙুর ইত্যাদি খেতে নিষেধ করেন। তবে গর্ভাবস্থার জন্য এসব ফল ক্ষতিকর—এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ পাননি চিকিৎসকেরা। কোন ফলগুলো বেশি উপকারী, জেনে নেওয়া যাক।
১. পেয়ারা
দেশি, পুষ্টিকর আর হাতের নাগালে দাম—এমন ফলের তালিকায় প্রথমেই থাকবে পেয়ারার নাম। সারা বছর পাওয়া যায়—এমন একটি ফল পেয়ারা।
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। বলা হয়, চারটি আপেল বা চারটি কমলার পুষ্টিগুণের প্রায় সমান একটি পেয়ারা। এ ফল গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
২. কলা
গর্ভকালে আপনি প্রতিদিন অন্তত একটি কলা খাবেন। কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। ইলোকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ঠিক রাখে। ফলে স্নায়ু ও মাংসপেশির কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
গর্ভকালে এমনিতেই শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। সহজেই যেকোনো অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কলা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. কমলা
ফাইবার আর ফলিক অ্যাসিডের ভালো উৎস হলো কমলা। ভ্রূণের মস্তিষ্ক আর মেরুদণ্ড গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে কমলায়।
৪. আপেল
গর্ভকালে প্রতিদিন অন্তত একটি আপেল খেলে বাচ্চার অ্যালার্জি ও অ্যাজমা হওয়ার শঙ্কা কমে যায়। আপেলে প্রচুর আয়রন থাকে, যা গর্ভাবস্থার হিমোগ্লোবিনের সংকট সামাল দিয়ে অ্যানিমিয়া রোধ করে।
৫. কিউই
এ ফলে আছে ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও ই, ক্যারোটেনয়েডস এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস। এসব উপাদান হার্টের জন্য ভালো। এ ছাড়া কিউই ফল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রেখে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
Leave a Reply