গত কয়েক দিন ধরে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ভিটামিন ‘এ’ ও কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অভিভাবকেরা ভীত হচ্ছেন শিশুদের নিয়ে।
প্রথম কথা হলো, এটি বিজ্ঞানসম্মত, জনস্বাস্থ্যের অনুকূলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং
দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হওয়া একটি ক্যাম্পেইন। কাজেই এর যৌক্তিকতা নিয়ে কিংবা বিজ্ঞানভিত্তিক জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর কারণে শিশুমৃত্যুর কোনো আশঙ্কা নেই। তবে বয়সের তারতম্যের কারণে ওভারডোজ হয়ে যেতে পারে।
ক্যাম্পেইনে এক থেকে পাঁচ বছরের বয়সসীমার শিশুদের ভিটামিন খাওয়ানোর কথা। এর ব্যত্যয়
হলে কিছু অসুবিধা হতে পারে। আর কৃমিনাশক বড়ি দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী বাচ্চাদের দুটো করে খাওয়ানো হয়েছে-একসঙ্গে খালিপেটে খাওয়ানোর ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডায়রিয়া বা বমি হতে পারে। এটা আপনা-আপনি এমনিতেই সেরে যায়। ডায়রিয়া বা বমি হলে খাওয়ার স্যালাইন
খাওয়ালেই চলে।
ওষুধের গুণগত মান নিয়ে সরকার এবং ইউনিসেফ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। কাজেই এই গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য ইস্যু নিয়ে বিতর্ক কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
ইকবাল কবীর
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১১, ২০০৯
Leave a Reply