ঘরের আসবাবগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পরিষ্কার করতে হবে ঘরের সব আসবাব পরিষ্কার রাখার পদ্ধতি একই নয়। কম সময়ে, কম ঝামেলায় ঘরের আসবাব পরিষ্কার করার উপায় জানিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
জেনে নিন
রান্নার কাজে চুলা ব্যবহারের পরপরই চুলা বন্ধ করে সাবানের গুঁড়া কিংবা পরিষ্কারক ডিটারজেন্ট কিংবা ভিমবার, ভিম পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে চুলার আশপাশ। এ জন্য পরিষ্কার টুকরা কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন এভাবে চুলার চারপাশ পরিষ্কার করে রাখা ভালো। তবে ব্যস্ততা থাকলে সপ্তাহে অন্তত দু-তিন দিন এভাবে চুলা পরিষ্কার রাখতে হবে।
অনেক সময় চুলার বার্নারে মাড় পড়ে, ময়লা শুকিয়ে যায়। এতে চুলার মুখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবার চুলায় লাল আগুন উঠে হাঁড়ি-পাতিলের তলায় কালি পড়তে পারে। সে জন্য মাঝেমধ্যে ব্রাশ দিয়ে চুলার বার্নারের ছিদ্রগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
কিছুদিন পরপর চুলা সার্ভিসিং করাতে হবে।
ঘরের জিনিসপত্র রাখার তাকে পোকামাকড় মারার ওষুধ, ন্যাপথলিন দিয়ে রাখতে হবে। তবে যেসব তাকে খাবার রাখা হয়, তাতে এগুলো না রাখাই ভালো।
প্রয়োজনে সপ্তাহে এক দিন তাকের জিনিসপত্র ঝাড়মোছ করে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
ঘরে কাঠের আসবাব থাকলে প্রতিদিন শুকনো বা নরম কাপড় অথবা ঝাড়ন ব্যবহার করে মুছতে হবে। প্রতিবছর বার্নিশ করলে কাঠের আসবাব ঝকঝকে-তকতকে থাকে।
গদিওয়ালা আসবাব ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করে পরিষ্কার করতে সুবিধা।
এ ছাড়া টিভি, রেফ্রিজারেটর প্রভৃতি আসবাব প্রতিদিন শুকনো কাপড় বা ঝাড়ন দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। কখনোই ভেজা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না।
কাঠের আসবাবের ওপর ফরমিকা ব্যবহার করা যেতে পারে, যেন কাঠের আসবাব সুরক্ষিত থাকে এবং দৃষ্টিনন্দন লাগে।
ঘরে কাচের বিভিন্ন আসবাব পরিষ্কারের জন্য বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিকুইড ক্লিনার; যেমন মিস্টার ব্রাসো, মিস্টার মাসল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে লিকুইড ক্লিনার ব্যবহারের পরই তা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
ডাইনিং টেবিলের ওপর যে কাচ ব্যবহার করা হয়, সেই কাচের ওপর প্লাস্টিকের টেবিলক্লথ ও মোটা পলিথিন ব্যবহার করতে হবে, যাতে ধুলো না জমে। এই কাচ পরিষ্কারের জন্য লিকুইড ক্লিনার স্প্রে করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। লিকুইড ক্লিনার না থাকলে পরিষ্কার কাপড় সাবান-পানিতে ভিজিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
ডাইনিং টেবিল প্রতিবার খাবারের পর পরিষ্কার ঝাড়ন দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। কখনোই গরম হাঁড়ি-পাতিল ডাইনিং টেবিলের ওপর সরাসরি রাখা যাবে না। সে জন্য চটের তৈরি ম্যাট ব্যবহার করতে হবে।
বেতের কিংবা বাঁশের তৈরি আসবাব সাধারণ পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে ঝাড়ন ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিবছর বার্নিশ করতে পারলে বেতের আসবাবের সৌন্দর্য বাড়ে।
কম্পিউটারের টেবিল, মনিটর প্রভৃতি জিনিস শুকনো পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে প্রতিদিন মুছে ফেলতে হবে। তবে লক্ষ রাখতে হবে, কখনোই ভেজা কাপড় দিয়ে এসব বৈদ্যুতিক সামগ্রী পরিষ্কার করা যাবে না।
রট আয়রন কিংবা স্টিলের আসবাব সব সময় নরম শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। কখনোই ভেজা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। তাতে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
নাঈমা আমিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৫, ২০১০
Leave a Reply