বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু। ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’ একথা সবারই জানা। প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে, মানুষকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করতে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় এই বন্ধুটির জন্য আমরা কতটা করি? কতটুকু যত্ন করি বইয়ের? বই পড়ার পাশাপাশি বইয়ের প্রতি কিছু করণীয় রয়েছে আমাদের। চলুন জেনে নেই সেই সব করণীয় সম্বন্ধে।
পড়ার ক্ষেত্রে
০০ বই পড়া শেষ হলে কখনও খুলে রাখবেন না। বন্ধ করে সুন্দর মতো শেলফে রেখে দিন।
০০ থুতু দিয়ে আঙ্গুল ভিজিয়ে বই উল্টানো নোংরামির পর্যায়ে পরে। এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন।
০০ বইয়ের পাতা ভাঁজ করবেন না। প্রয়োজনে পেজ মার্ক ব্যবহার করুন।
০০ অনেক মোটা এবং পুরু মলাটের বই পুরোপুরি ভাঁজ করবেন না। এতে মলাট ভেঙ্গে বই নষ্ট হয়ে যায়।
০০ কখনই বইয়ের পাতা ছিড়বেন না। এটা পরবর্তীতে যে কারো জন্যই সমস্যার সৃষ্টি করবে।
০০ বইয়ের পাতায় পেন্সিল বা মার্কার দিয়ে মার্ক করবেন না। কারণ আপনার জন্য যেটা সুবিধা অন্যের জন্য সেটা অসুবিধাও হতে পারে।
০০ অনেক মোটা বা ভারী বই কুশন বা কার্পেটের উপর রেখে পড়ুন। এতে বইয়ের ভাঁজ ভেঙ্গে যাবে না।
০০ খাওয়ার সময় বই পড়বে না। কারণ এতে বইয়ে ঝোলের দাগ লাগতে পারে।
গোছানোর ক্ষেত্রে
০০ বুক শেলফে বই হেলিয়ে না রেখে সোজা করে রাখুন।
০০ বই সাজানোর ক্ষেত্রে বইয়ের ধরন বা বিষয়বস্তু অনুসারে সাজাতে পারেন। এতে করে পরে খুঁজে পেতে সুবিধা হয়।
০০ মাঝে মাঝে বই বের করে ধুলো ময়লা পরিষ্কার করুন।
০০ বই বের করার সময় এক মাথা ধরে টান না দিয়ে মাঝামাঝি ধরে টেনে বার করুন।
০০ গাদাগাদি করে শেলফে বই রাখবেন না।
দেওয়া নেওয়ার ক্ষেত্রে
০০ কাউকে বই দিলে তার কাছ থেকে সঠিক সময়ে ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে তবেই দিন।
০০ লাইব্রেরী থেকে বই নিলে যথাসময়ে ফেরত দিন।
০০ কারো থেকে বই নিলে যত্ন করে পড়ুন। তার বইটি ছেড়া হলে আপনি মলাট করে ফেরত দিতে পারেন।
০০ কারও কাছ থেকে বই নিলে তার অনুমতি না নিয়ে অন্য কাউকে দিবেন না।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, মে ১৮, ২০১০
Leave a Reply