এই সময় জীবন যাপন ডেস্ক: নিজের সন্তানের যত্ন নিতে নিতেই দিন কেটে যাচ্ছে? নবজাতক সন্তানকে বড় করার আনন্দ ও অভিজ্ঞতা অসাধারণ। কিন্তু সন্তান লালন-পালন করতে গিয়ে মায়েরা নিজের যত্ন নিতেই ভুলে যান। কিন্তু সন্তানের দেখাশোনার মাঝেও নিজের যত্নের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে প্রত্যেক মা-কে। সে ক্ষেত্রে অতিসাধারণ একটি কাজ করতে পারেন।
প্রত্যেক মা-কে প্রতিদিন পরিষ্কার জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জীবনযাপন প্রণালীতে পরিবর্তন হওয়ায় হাইড্রেট থাকা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। হাইড্রেট থাকা যত জরুরি, ততটাই জরুরি পরিষ্কার জল পান করা। কারণ এই পানীয় জলই আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে ভারতের অধিকাংশ জনগণই পরিচ্ছন্ন জল পান না।
নিরাপদ পানীয় জল
জল পানের যোগ্য কী না, তা নির্ভর করে নানান বিষয়ের ওপর। জলের স্বচ্ছতা, টিডিএস, ক্লোরিন এবং অন্যান্য উপাদান পানীয় জলের যোগ্যতা নির্ধারণ করে থাকে। আবার জলে কত পরিমাণে খনিজ উপস্থিত, তা-ও জলের গুণাগুণ নির্ধারণ করে থাকে। তাই পানের জলে এই সমস্ত উপাদান যথাযথ পরিমাণে থাকা অত্যন্ত জরুরি।
প্রতি মিলিয়নে জলের টিডিএস থাকা উচিত ৫০ থেকে ১৫০ পার্ট। আবার টার্বিডিটি বা স্বচ্ছতার পরিমাণ থাকতে হবে ১ এনটিইউ বা নেফেলোমেট্রিক টার্বিডিটি ইউনিট। এ ছাড়াও জলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ থাকাও জরুরি, কারণ আমাদের শরীর জল থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে খনিজ শোষণ করে থাকে।
পরিষ্কার ও স্বচ্ছ জল কেন জরুরি?
প্রত্যেকের জন্য বিশেষত প্রসূতি মায়েদের পরিষ্কার ও নিরাপদ জল পান অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিচ্ছন্ন জল পান করে থাকলে হাইড্রেট থাকা সহজ হয়। শিশুকে স্তন্যপান করিয়ে থাকলে এটি আরও জরুরি হয়ে ওঠে। স্তন্যপান করানোর সময় শরীর থেকে যে পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়, তা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে পুনরায় প্রতিস্থাপিত হয়।
আবার উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন জল পান করে জলবাহিত রোগের হাত থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। পরিচ্ছন্ন জল পান করলে ডাইরিয়া, টাইফয়েড, ই কোলাই, হেপাটাইটিস এ, সালমোনেলা নামক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারেন।
তাই বাড়িতে যদি স্বচ্ছ জল থাকে, তা হলে নিজের সন্তানের জন্য বার বার জল ফোটাতে হবে না।
বাড়িতে পরিষ্কার জল কী ভাবে পাবেন?
বাড়িতে নবজাতক আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু পাল্টে যেতে শুরু করে। বাড়ি যাতে শিশুর উপযুক্ত হয়, তা সুনিশ্চিত করা জরুরি। সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু থাকা যেমন জরুরি, তেমনই সবচেয়ে সাধারণ ও প্রয়োজনীয় বিষয়টি উপেক্ষা করে যাবেন না, তা হল স্বচ্ছ ও নিরাপদ পানীয় জল।
আপনি যদি পানীয় জলের জোগানের জন্য ২০ লিটারের প্লাস্টিকের জলের বোতলের ওপর নির্ভর করে থাকেন, তা হলে এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সময় এসেছে। কারণ জলের জারে যে সমস্ত পানীয় জল সরবরাহ করা হয় তা ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পানের যোগ্য নয়।এই তথ্য জানার পর আপনি ভাবতেই পারেন যে, ফুটন্ত জলই সমস্ত সমস্যার সমাধান হাতে এনে দেবে? এ ক্ষেত্রে প্রতিদিনের পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ফোটাতেই দিন কেটে যাবে। তাই বাড়িতে ওয়াটার পিউরিফায়ার লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এর ফলে সময় তো বাঁচবেই, পাশাপাশি সারাদিন পরিচ্ছন্ন পানীয় জলও পাবেন।
নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে উচ্চ গুণ সম্পন্ন জল পান করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করুন। তৃষ্ণা পেলে সবসময় রান্নাঘরে দৌড়নোর পরিবর্তে নিজের হাতের সামনে একটি জলের বোতল রাখুন। এর ফলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর জল পান করা সহজ হবে। আবার তৃষ্ণা পাওয়া পর্যন্ত অনেকেই জল পান করেন না, সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে জল পান করতে হলে মোবাইল ফোনে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-11-10 15:09:16
Source link
Leave a Reply