গ্যাস এবং ডায়রিয়া
হিং হজমের জন্য খুবই ভালো। পাকস্থলীর অম্লত্ব-ক্ষারত্ব রক্ষা করে হিং হজমের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হিং সাধারণত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু হিং পরিমাণ মতো না খেলে গ্যাস, ডায়রিয়া এমনকি পেটে জ্বালাপোড়াও হতে পারে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত গ্যাস হলে হার্টও বমি বমি ভাব শুরু করে। এই পরিস্থিতি এড়াতে হিং যুক্ত খাবার খাওয়ার আগে হালকা খাবার খান। হিং ঠোঁট ফোলা, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, গ্যাস, রক্তচাপ ইত্যাদির মতো অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
গর্ভবতী মহিলাদের বেশি হিং খাওয়া ভালো নয়
গর্ভাবস্থায় বেশি হিং খেলে গর্ভপাত হতে পারে। হিং জরায়ু সংকোচনকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং এটি গর্ভপাতের দিকে নিয়ে যেতে করে। মনে রাখবেন যে কোনও অবস্থাতেই ৫ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের হিং-যুক্ত খাবার দেওয়া উচিত নয়।
উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ
অতিরিক্ত হিং খাওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। এই দুই সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের হয় এটি থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত, নয়তো তাদের এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যাঁদের হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে তাঁদের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হিং এর ভ্যাসোরিলাক্সান্ট উপাদানের জন্য রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাধে না।
মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরা
আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হিং খান তবে এর ফলে মাথাব্যথা হতে পারে। এছাড়াও, অনেক মানুষ আছেন যাঁরা হিং-এর তৈরি খাওয়ার পরে মাথা ঘোরার সমস্যায় পড়ে যান। হিং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণত কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হয় এবং তার পরে সেরে যায়। কিন্তু যদি এটি না হয়, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত এবং এটি পরীক্ষা করা উচিত।
অ্যালার্জি হতে পারে
হিং খাওয়ার কারণে ত্বকে লাল দাগ বা ফুসকুড়িও তৈরি হতে পারে। এটি সাধারণত কয়েক মিনিটের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু যদি এই অবস্থা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয় এবং ফুলে যেতে শুরু করে, তাহলে সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এমনকিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে মানুষের অ্যালার্জির সমস্যায় পড়ার হার বেশি। তবে সেটি যে সবার ক্ষেত্রেই ঘটবে এমন নয়। রান্নায় ব্যবহৃত বেশির ভাগ মশলাতেই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস রয়েছে ভরপুর। খাবার হজম করতে সাহায্য করা প্রধান কাজ মশলার। পরিপাকের সময়ে বিভিন্ন খাবারের খাদ্যগুণ বিশ্লেষিত হয়ে শরীরে তার যে আত্তীকরণ ঘটে, এর নেপথ্য ভূমিকা কিন্তু বিভিন্ন মশলারই। কিন্তু বেশি হয়ে গেলে তা থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
ঠোঁট ফুলে যেতে পারে
হিং খুবই উপকারী একটি মশলা। এটি সেবনের ফলে কারো কারো ঠোঁটে ফোলাভাব দেখা দিতে শুরু করে। যদিও এই ফোলা মাত্র কয়েক ঘন্টা বা দিন স্থায়ী হয়। এর পর নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যদি তা না হয় এবং ঘাড় ও মুখে ফোলাভাব বাড়তে থাকে, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করাতে হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত হিং খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া ও গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
পক্ষাঘাত
আপনার যদি প্যারালাইসিস হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে হিং-এর থেকে দূরত্ব রাখতে হবে। হিং স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত মাত্রায় হিং সেবন করলে অম্বল, মাথাব্যথা, বেলচিং এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। একজন ব্যক্তিকে শুধুমাত্র ১০ মিলিগ্রাম থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হিং খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতিদিন হিং খেলে অনেক রোগ এড়ানো যায় বটে। তবে বেশি খেলে হিতের বিপরীতও হতে পারে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-11-10 11:48:10
Source link
Leave a Reply