খেজুরের পুষ্টিগুণ
ক্যালোরি ২৭৭ গ্রাম, ১.৮১ গ্রাম প্রোটিন, মোট চর্বি ০.১৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭৫ মিলিগ্রাম, ফাইবার ৬.৭ গ্রাম, খেজুরে ৩% ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন বি রয়েছে ৬০.২৫ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ০.৩ মিলিগ্রাম, তামা ০.৩৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৫৪ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৬৯৬ মিলিগ্রাম। নানান খনিজ সমৃদ্ধ এই খেজুর বিশেষ করে পুরুষ দেহে নানান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির কারণে এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, আলঝাইমার এবং হৃদরোগ। খেজুরগুলির শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার উন্নতির জন্য ভালো বলে বিবেচিত হয়।
ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে
খেজুর ব্যবহার করলে ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা, আর্দ্রতা এবং চকমক নিয়ে আসে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ডি ত্বক শিথিল হওয়া রোধ করতে কার্যকরি ভূমিকা নেয়। শুধু এটিই নয়, খেজুরগুলিতে উপস্থিত অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যগুলি শরীরে মেলানিন সংগ্রহ করতে দেয় না। এটি আপনার ত্বককে দীর্ঘ সময়ের জন্য যুবক রাখে। পুরুষ ত্বকের যত্নে খেজুর ভীষণ ভাবে কার্যকরী। পুরুষরা সাধারণত ত্বকের জন্য কিছুই করেনা। সেক্ষেত্রে নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বক ভেতর থেকে ভালো থাকবে।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে
খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি ডায়াবেটিসের চিকিত্সায় সহায়তা করে। এই ফলটি ইনসুলিন সিক্রেটে অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারের উপস্থিতি একজন ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখে।
বন্ধ্যাত্ব দূর করে
খেজুরে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার অনেকগুলি রোগ নিরাময় করতে পারে। এটি খেলে ডায়াবেটিস, স্থূলত্ব এবং হৃদরোগ নিরাময় হয়। একই সাথে এটি পেটের ক্যানসার এবং আলসারের মতো অবস্থার ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। আফ্রিকায় দেখা গেছে পুরুষ বন্ধ্যাত্বের জন্য সেখানকার লোকেরা দীর্ঘ দিন ধরে খেজুর । তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজনে। শোনা যায় খেজুর ফুলের পরাগরেণু বন্ধ্যাত্ব দূর করে, শুক্রাণু বৃদ্ধি করে। খেজুর ও এর ফুলে থাকা পরাগরেণু ডিএনএ’র গুণগত মান উন্নত করে ওষুকোষের শক্তি বাড়ায়। পুরুষদের কাজের চাপে অনেক সময় শরীর দুর্বল লাগে সেক্ষেত্রে কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিলেই ফিরে পাবে আগের এনার্জি।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সক্ষম
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও সোডিয়াম দেহে উচ্চ রক্তচাপ কমায়। ও বাজে কোলেস্টেরল দূর করে ও শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খুব অল্প পরিমাণে সোডিয়াম। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমায় এবং ভালো কলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
হার্টের সমস্যা দূর করে
বেশিরভাগ পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অত্যাধিক কলেস্টেরলের কারণে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস জলে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। এবার সকালে উঠে সেই জল পান করলে হার্টের সমস্যা কমবে। খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে। খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি
দুধ ও খেজুর- উভয়েই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনের মাত্রা। এই দুটি জিনিস একসঙ্গে মিশলে আয়রনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে হিমোগ্লোবিন ও প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, দুধের মধ্যে দুটি করে খেজুর দিয়ে ফোটানো হলে, সেই উপাদেয় খাবারটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে মানা হয়। খালি পেটে একটি নির্দিষ্টি সময়ে এই উপকারী পানীয় খেতে পারেন। মাত্র ১০ দিনে রক্তাল্পতার সমস্যা উধাও হবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-11-10 09:52:51
Source link
Leave a Reply