ডাক্তার আহুজা এই বেস্ট অ্যাকনে হওয়ার এবং বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বেশ কিছু ব্যাপার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। তা হলে দেখে নেওয়া যাক, কী কী কারণে বাড়তে পারে ব্রেস্ট অ্যাকনে।
স্তনের আকার
যে সব মহিলার স্তনের বৃদ্ধি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, তাঁরা এই সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। এই ধরনের স্তন ক্লোজ সেট ব্রেস্ট হিসেবেও পরিচিত। স্তনের আকার অত্যধিক বড় হওয়ায় স্বাভাবিক পারস্পরিক ঘর্ষণ বেশি হয়। ফলে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায় যা ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় অনেকাংশেই।
অন্তর্বাস ও বিশেষ কিছু জিনিসের ব্যবহার
অনেক সময়েই বহু মহিলার প্রবণতা থাকে স্তনের মাপের চেয়ে ছোট অন্তর্বাস কেনার এবং ব্যবহার করার। কিন্তু তা ভুল। অন্তর্বাস যেমন ঢিলেঢালা হবে না, তেমনই খুব আঁটোসাটোও হবে না। তা হলে স্তনের ব্রণ বা অ্যাকনের আশঙ্কা বাড়রে পারে। অনেকেই এমন বহু প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, যা থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা ছড়ায়। যেমন হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, পারফিউম, ওয়াক্সিং ইত্যাদি। এই জাতীয় ইরিট্যান্টের কারণেও ব্রেস্ট অ্যাকনে হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
অতিরিক্ত ঘাম, হরমোনের পরিবর্তন
কেউ যদি এমন অত্যন্ত ঘামেন অথবা প্রচুর ব্যায়াম করার পাশাপাশি ঘাম না মোছেন, তা হলে সেবাসিয়াস গ্রন্থিগুলির মুখ আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ব্রেস্ট অ্যাকনেও বেশি হয় তাঁদের। হরমোনের পরিবর্তন যেমন কোন মানুষের শরীরের অন্যান্য অংশকে প্রভাবিত করে, তেমনই স্তনকেও ত প্রভাবিত করে। শরীরে মেল হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণ হয়। তা থেকেও ব্রেস্ট অ্যাকনে হতে পারে।
খাওয়াদাওয়ার সমস্যা ও স্ট্রেস
তৈলাক্ত খাবার, জটিল বা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট কিংবা ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সার্বিক ভাবেই শরীরের ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ধরনের ডায়েট ওজন বাড়ায় এবং স্তনে চর্বি জমা বাড়ায়। ফলে দুই স্তনের মধ্যবর্তীকার অংশে ঘর্ষণের ফলে ব্রণ হয়। যে কোনও ধরনের স্ট্রেস শরীর থেকে কর্টিসল উৎপাদন বাড়ায় যা কি না পরোক্ষ ভাবে সেবাম নিঃসরণ করে। ফলে ব্রেস্ট অ্যাকনের মতো সমস্যা বাড়ে।
স্তন গ্রন্থিতে সংক্রমণ
বিশেষ করে স্তন্য পান করানোর সময়ে স্তবে সংক্রমণ বা ইনফেকশন হতে পারে। ফলে লাল ভাব, ব্যথা এবং অ্যাকনের সমস্যা বাড়ে।
ডাক্তার আহুজা পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘আপনার ত্বকের জন্য কী উপযুক্ত তা জানুন। ঠিক মাপের অন্তর্বাস পরুন। আপনার খাদ্যতালিকায় আরও ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। খাদ্যতালিকার ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কেউ যদি বেশি ঘামেন, তা হলে সে ক্ষেত্রে তাঁকে স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি নিজের ওজনের ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। ব্রেস্টের যত্নও কিন্তু শারীরচর্চার মধ্যেই পড়ে’।
তিনি আরও জানাচ্ছেন, তেল দেওয়া খাবার, অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। কী ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন, তা জানাও জরুরি। এমন কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না, যা থেকে কোনও র্যাশ বেরোয় বা ইরিটেশন হয়। যদি ব্রণের পাশাপাশি লাল ভাব, চুলকানি এবং ব্যথাও হতে থাকে, তা হলে অবশ্যই এক জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-11-08 14:21:40
Source link
Leave a Reply