গ্রী্নের পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে তরমুজ অন্যতম। বিশাল আকৃতির এ ফলটি খাদ্যপ্রাণে ভরপুর। অল্প দামের এ ফল খেলে পাওয়া যায় অনেক সুফল। তরমুজে কোলেস্টেরল নেই।
আমাদের শরীরে তরমুজের কাজ
— তরমুজে পানির পরিমাণ বেশি, তাই ফলটি শরীরে পানির অভাব দূর করে।
— ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’র একটি ভালো উৎস। এ দুই ধরনের ভিটামিন ত্বক ও চুলে পুষ্টি জোগায়।
— তরমুজে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নামক উপাদান, যা শরীর সতেজ রাখে।
— পানির পরিমাণ বেশি থাকায় তরমুজ প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, পেটের আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য, জ্বর-সর্দি-হাঁচি-কাশি কমায় এবং যক্ষ্মা ও কফ কমাতেও ভীষণ উপকারী।
— তরমুজে লাইকোপেন নামের এক ধরনের খাদ্য উপাদান রয়েছে, যা অন্ত্রের ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
— দেহের জন্য ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া দেহ থেকে নিষ্কাশনে ভূমিকা রাখে।
— আমাদের শরীরে ফ্রি র্যাডিকেলস নামক এক ধরনের পদার্থ রয়েছে, যা দেহের শিরা-উপশিরায় কোলেস্টেরল বা চর্বি জমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে হার্ট অ্যাটাক বা হৃৎপিণ্ড অকেজো হয়ে যায়। ফ্রি র্যাডিকেলসের জন্য অ্যাজমার সমস্যাও হতে পারে। তরমুজ এই ফ্রি র্যাডিকেলসের পরিমাণ কমায়। তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ‘বি’। এ উপাদানগুলো দেহের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে এবং দেহে শক্তি জোগায়।
— তরমুজের রস ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে, ত্বককে করে উজ্জ্বল, সতেজ।
দরকার সচেতনতা
ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনেক সময় বিক্রেতারা তরমুজ কেটে রাখে। এতে কাটা অংশে রাস্তার ধুলাবালি, রোগ-জীবাণু যুক্ত হয়। কেটে রাখা তরমুজ খাবেন না।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২০, ২০০৯
Leave a Reply