বিশ্বে বিভিন্ন রোগ ও মৃত্যুর শীর্ষ কারণ স্ট্রোক। আমাদের জীবন যাপনের ধরণই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ট্রোকের জন্য দায়ী। আমাদের প্রতিদিনকার কিছু খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আসুন একনজরে দেখে নেয়া যাক এমন কিছু খাবার যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়-
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য:
ক্র্যাকারস, চিপস, স্টোর থেকে কিনে আনা খাবার এবং ভাজা খাবারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার বা জাঙ্ক খাবারে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। এর ফলে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা ধমনীতে জমে এবং ব্লকেজের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি শরীরে ইনফ্লেমেশানের কারণ। এই প্রদাহ বাড়তে থাকলে স্ট্রোক হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্মোকড ও প্রক্রিয়াজাত মাংস:
প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়াম নাইট্রাইটের মতো কিছু উপাদান থাকে, যা রক্তবাহিকার ক্ষতি করে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে অক্সিডেটিভ চাপ দেখা যায়, যা রক্তবাহিকার দেয়াল ধ্বংস করে এবং কলাগুলিতে আঘাত হানে। হট ডগ, বেকন, সালামি এমনই কিছু স্মোকড ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের উদাহরণ।
টেবিল সল্ট:
এ ক্ষেত্রে প্যাকেটজাত খাবার ও টেবিল সল্টের কথা বলা হচ্ছে। তবে প্রাকৃতিক অপরিশোধিত লবণ, যেমন হিমালয়ান লবণ স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধির সাথে জড়িত নয়। খাবারের স্বাদবৃদ্ধিতে এই লবণ ব্যবহার করা যায়। লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, যা ধমনী, মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই দিনে লবণ গ্রহণের পরিমাণ ৫ গ্রামের নীচে কমিয়ে আনলে রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমে আসতে পারে।
ডায়েট সফট ড্রিঙ্ক:
অনেকের ধারণা একটি সোডায় নামের সাথে যেহেতু ‘ডায়েট’ রয়েছে, তাই এটি পান করা যেতে পারে। তবে নানা অধ্যয়নে ডায়েট সফ্ট ড্রিঙ্ক পান ও স্ট্রোক ও ভাসকিউলার রোগের মধ্যে সংযোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ৯ বছর ধরে ২৫০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিদের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন ডায়েট সোডা পান করেছেন তাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক অথবা এ কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা যারা খুব কম বা এক্কেবারেই সোডা পান করেন না তাদের তুলনায় ৪৮ শতাংশ বেশি।
ধূমপান:
স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান একটি ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ ধূমপান। সিগারেট থেকে যে ধোঁয়া বের হয় তার মধ্যে প্রায় ৪০০০ বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এগুলো রক্তে মিশে যায়। সিগারেটে থাকে নিকোটিন যার জন্য আসক্তি তৈরি হয়। ধূমপান করলে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয়। সেজন্য স্ট্রোক বেড়ে যায়। ধূমপানের ফলে রক্তনালীর ভেতরের দিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তখন সেখানে চর্বি জমা শুরু হয়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ব্রেনের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে দেখা দেয় স্ট্রোক। এছাড়া ধূমপান করলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়। রক্তের ঘনত্ব বেড়ে গেলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে। স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
স্বাস্থ্য – Jamuna Television
2021-11-07 19:27:59
Source link
Leave a Reply