এই বছর গণেশ চতুর্থীর সময় পড়েছে শুক্রবার সকাল ১১.০৯ মিনিট থেকে রাত ১০.৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এই বছর গণেশ পুজোর জন্য শুভ সময় শুরু হবে ১২টা ১৭ মিনিটে অভিজিত্ মুহূর্ত থেকে এবং এই শুভক্ষণ থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এই দিনের বিশেষ সময়কে মাথায় রেখেই বাড়িতে গণেশ প্রতিষ্ঠা করুন। কারণ এই লগ্ন খুবই শুভ।এই কারণেই গণপতিকে এই ফলগুলি প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়। সিদ্ধিদাতার প্রিয় এই ফল শুধু পুষ্টিকরই নয়, রোগনিরাময়েও দারুণ উপকারী।দেখে নিন এই ৫টি ফল শরীরে কী কী উপকার করে।
আতা

আতা সুপরিচিত ফল। এর নানা গুণ। শুধু স্বাদের কারণেই নয়, স্বাস্থ্যের জন্য এটি দারুণ উপকারী ফল। ভিটামিন সির মতো নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ ছাড়া কোষ্ঠ পরিষ্কার, অরুচি দূর করা, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার প্রয়োজনে আতা খাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এ ফল শরীরের জন্য খুব কাজের। এ ফলে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের কর্নিয়া ও রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখে। আতায় শর্করার পরিমাণ বেশি। এই ফল আবার দু ধরনের হয়ে থাকে। লালচে ও সবুজ। লালচে আতায় সবুজ রঙের আতার চেয়ে ক্যালরি ও আয়রন বেশি থাকে। কপার ও ডায়াটারি ফাইবার থাকায় এটি হজমের জন্য ভালো। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে সহজেই। এই ফল আয়রনে পরিপূর্ণ। তাই এটি খেলে লোহিত রক্তকণিকা বাড়ে। এতে রক্তশূন্যতা দূর হয়। আতায় আছে থিয়ামিন। এটি খাবারকে এনার্জিতে রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে। আতায় আছে ম্যাগনেশিয়াম, যা হাড়ের গঠন মজবুত করে।
ছবি সৌজন্য: নবভারত টাইমস
কলা

ব্রেকফাস্ট টেবিলে দুধ আর কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে অনেকেই কলা খেতে পছন্দ করেন। চটজলদি হাতের সামনেও মেলে এই ফল। দামেও সস্তা। সঙ্গে পুষ্টিগুণে ভরপুর। কলায় থাকা মিনারেল, ভিটামিন আর ফাইবার শরীরের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া এই ফলটিতে রয়েছে প্রটুর পরিমাণে পটাশিয়াম। একটি মাঝারি মাপের কলা থেকে শরীরে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রবেশ করে। যা ভালো রাখে হৃদযন্ত্র। তাই প্রতিদিন অবশ্যই একটি করে কলা খান। এনার্জি বাড়াতে কলার জুড়ি নেই। তাই খুব বেশি ওজন কমে গেলে বা শরীর দূর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত রাখে।কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার। যা কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যার দূরে রাখতে সাহায্য করে।
ছবি সৌজন্য: নবভারত টাইমস
বেল

আবহাওয়ার পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব ফেলে শরীরে। আর তার জেরে ছোট থেকে বড় প্রায় সকলেরই নাজেহাল দশা। কিন্তু জানেন কি বেলে রয়েছে হাজারও উপকারিতা। সেই প্রাচীন সময় থেকেই কিন্তু আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পাকপক্ত জায়গা করে করে নিয়েছিল বেল। পাকা বেলের শাঁসে সেই ফাইবার আছে যা আলসার উপশমে খুবই কার্যকরী। সপ্তাহে তিনদিন খান বেলের শরবত।এছাড়া বেলের পাতা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খেলেও অনেকংশে কমে আলসার। পাকা বেলে আছে মেথানল নামের একটি উপাদান যা ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ করে।তবে শরবত করে নয় বেল খেতে হবে এমনিই। ব্যাথা ছাড়া এখন খুব কম মানুষই আছেন।নিয়মিত বেল খেলেই মুক্তি পাবেন আর্থ্রারাইটিস-এর সমস্যা থেকে।
ছবি সৌজন্য: নবভারত টাইমস
কালো জাম

কালো জামের স্বাস্থ্যো উপকারিতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কালো জাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা, বিশেষ করে যাদের ডায়াবিটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু জানেন কি এটি চুল ও ত্বকের জন্যও খুব উপকারী। ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে বাড়তে থাকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি৷ সেই সঙ্গেই বাড়তে থাকে কিডনির সমস্যার সম্ভাবনাও৷ সুস্থ থাকতে তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি৷ চিকিত্সকের পরামর্শে তা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নিষ্কৃতি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ডায়াবেটিস মোকাবিলায় অব্যর্থ কালোজাম৷ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বীজ খুবই উপকারী। ফল ও বীজ উভয়েই উপস্থিত জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জামের বীজও রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ছবি সৌজন্য: নবভারত টাইমস
পেয়ারা

স্বাদ, পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে পেয়ারা খেলে প্রচুর লাভ। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখা যেতে পারে। এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও লাইকোপেন—যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। পেয়ারার বিশেষ পাঁচটি গুণের মধ্যে রয়েছে, এটি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চোখের জন্য ভালো, পেটের জন্য উপকারী আর ক্যানসার প্রতিরোধী। পেয়ারায় যে পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে তা শরীরে গেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘ বি’ কমপ্লেক্স।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-09-10 10:08:44
Source link
Leave a Reply