তবে অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের ফিটনেসের কারণেও শিরোনামে থাকেন এই খিলাড়ি ৭৮৬। তাঁর ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ওঠা এবং রাত ৯টা বাজতে না-বাজতে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস সকলেরই জানা। । এমনিতে তিনি খিলাড়ি। ফিটনেসে টেক্কা দিতে পারেন উঠতি তারকাদেরও। ৫৩ পেরিয়েও তিনি যেন চির যুবা।
শরীরকে সার্বিক ভাবে ফিট রাখা জরুরি
অক্ষয় কুমার কোনও দিনই কোনও শর্টকাটে বিশ্বাসী নন। তিনি বিশ্বাস করেন, ফিট থাকতে গেলে তা আসতে হবে ভেতর থেকে। প্রত্যেক দিন জিমে গিয়ে নিয়ম মেনে নানা এক্সারসাইজের রুটিনে নিজেকে বেঁধে ফেললে স্ট্যামিনা বাড়বে ঠিকই, কিন্তু বেশ কিছু জিম করার পরে ছেড়ে দিলে স্ট্যামিনায় ঘাটতি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আবার বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট, প্রোটিন পাউডার কিংবা শেক খেলে পেশি বাড়বে, কিন্তু সেই জোর দীর্ঘস্থায়ী হবে না। অথচ শরীর যদি ভেতর থেকে মজবুত হয়, তার কোনও বিকল্প নেই।
নিজেকে ফিট রাখার জন্য অক্ষয় কুমার কড়া রুটিন মেনে চলেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠেন বেশ তাড়াতাড়ি। তার পর কোনও দিন কিক বক্সিং, কোনও দিন যোগা, সুইমিং থাকে। সঙ্গে অবশ্য মার্শাল আর্ট থাকেই তাঁর রুটিনে। রোজ একই রকম শারীরচর্চায় তিনি বিশ্বাসী নন। সেই কারণে নতুনত্ব কিছু করায় তাঁর ঝোঁক থাকে বরাবরের। অক্ষয় কুমার বলেন, আমরা যা খাই, আদতে সেটাই হয়ে দাঁড়াই। তাই প্রকৃতির হাতে নিজেকে সঁপে দেওয়াই শ্রেয়, কোনও সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার দরকারই নেই।
ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম
বদভ্যেস বাদ
ধূমপান এবং মদ্যপান শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতিই করে না, শারীরচর্চা করার স্ট্যামিনা কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি নিয়মিত এক্সারসাইজ করায় ভাটা আনে এই বদভ্যেসগুলো। অক্ষয় কুমার নিজে তো এ সব করেনই না, আবার নিজের অফিসকেও নো-স্মোকিং জোন বানিয়ে ছেড়েছেন।
ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম
অক্ষয় কুমারের ডায়েট
ঘরের খাবারের বিকল্প নেই
এমনিতেই রাস্তার ফাস্ট ফুড খাওয়া শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, এ কথা চিকিৎসক থেকে ডায়েটিশিয়ান সকলেরই বক্তব্য। অক্ষয় কুমারও সেই একই সুরে সুর মেলাচ্ছেন। তিনি বলছেন, মা যা রান্না করেন, তাঁর হাতের খাবার সেরা। এর কোনও বিকল্প হয় না। তাই রাস্তা বা রেস্তরাঁর খাবার না খেয়ে ভরসা থাকুক বাড়ির হেঁশেলেই। এমনকি আয়ুর্বেদে বিশ্বাসী অক্ষয় কুমার বরাবরই জোর দেন প্রাকৃতিক খাবারের প্রতি। দুধের সঙ্গে খাঁটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তিনি নিজে এই নিয়ম মেনে চলেন এবং মানুষকে আয়ুর্বেদ সম্পর্কে উৎসাহিতও করেন। আর শহরে শুটিং করলে, তাঁর জন্য খাবার আসে বাড়ি থেকেই, লাঞ্চ বক্সে ভরে।
ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম
দিন শুরু আর রাতের ঘুম হোক তাড়াতাড়ি
আর্লি টু রাইজ অ্যান্ড আর্লি টু বেড- এ নেহাত কথার কথাই নয়। এই সু-অভ্যাস বজায় রাখলে তার ভালো ছাপ পড়ে শরীরে এবং মনেও। অক্ষয় কুমারের কথায়, কেউ তাঁকে পার্টিতে নেমন্তন্ন করলে তিনি আগেভাগেই বেরিয়ে আসেন। কারণ একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর রাত জাগা। তিনি বলেন, আমি ঘুমোতে ভালবাসি, আবার সকালবেলার আলো দেখতেও পছন্দ করি। তাই তাড়াতাড়ি শুতে যাই। ঘুম থেকে উঠিও তাড়াতাড়ি। আর এই কারণেই রাতের শিফটে কাজ তাঁর একেবারে না-পসন্দ।
ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম
জল, জল জল এবং আরও জল
সকালে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস জল খাওয়ার কথা ছোটবেলায় সব বাবা-মায়েরাই সন্তানকে কমবেশি শেখান। জল পান অত্যন্ত উপকারী। আসলে জল শুধু শরীরকে রিহাইড্রেটই করে না, বরং পাশাপাশি শরীরের নানা রোগ বাসা বাঁধতেও আটকায়। অক্ষয় কুমার প্রত্যেক দিন নিয়ম করে চার থেকে পাঁচ লিটার জল খানই। তাই তিনি বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন সকলকে।
নিজেকে ফিট রাখার জন্য কেটল বেল্ট এক্সারসাইজ বা কিটো ডায়েট করার দরকার পড়ে না। একটা সুনির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলা, ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করা, এক্সারসাইজ করা আর বদভ্যেসকে সু-অভ্যাসে পালটে ফেলার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ফিট থাকার আসল মন্ত্র। তার পর দেখবেন, নিজের জীবনের খিলাড়ি হয়ে উঠছেন নিজেই, অক্ষয় কুমার নন।
ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-09-09 12:08:15
Source link
Leave a Reply