বর্ষা এখনো প্রকৃতিতে ধরা দেয়নি। তবে মেঘের দল কিন্তু ঠিকই ঘুরে বেড়াচ্ছে আকাশে। কখন কার সঙ্গে অভিমান করে ঝমঝম করে ঝরিয়ে দেয় কান্নাজল, কে জানে! আর তাই বর্ষা আসার আগেই হুটহাট নেমে যাওয়া বৃষ্টি মোকাবিলার জন্য হয়ে পড়ুন প্রস্তুত। এই মৌসুমে সঠিক পোশাক নির্বাচনের ওপর জোর দেন তহু’স ক্রিয়েশনসের ফ্যাশন ডিজাইনার তৌহিদা তহু। গরমে সুতি কাপড় পরাই সবচেয়ে ভালো। তবে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আকাশের অবস্থা দেখে কখনো কখনো কৃত্রিম তন্তুর কাপড়ও পরতে পারেন। এই কাপড়ের সুবিধা হচ্ছে, ভিজলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তবে কাপড়টি যেন মসৃণ ও আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এ ছাড়া শিফন কাপড়ও বেছে নিতে পারেন।
পথে কাদা ছিটে পোশাকে দাগ হতে পারে। তাই একটু উজ্জ্বল রঙের পোশাক নির্বাচন করুন। নীল, সবুজ, কমলা, গোলাপি রংগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে পারেন। ধাতব গয়না এ সময় না পরাই ভালো, কারণ এ ধরনের গয়না ঘাম ও বৃষ্টির পানিতে ভিজে ত্বকে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। পায়ের জুতাটাও হতে হবে মৌসুম-উপযোগী। একদম চটি জুতা না পরে অল্প হিলযুক্ত জুতা নির্বাচনের পরামর্শ দেন তৌহিদা তহু। চামড়ার জুতা পরা একদম বাদ দেওয়া উচিত এ সময়। রাবার বা স্পঞ্জের তৈরি জুতা পরাটাই বেশি আরামদায়ক। এ ধরনের জুতা পানিতে নষ্টও হয় না, আবার কাদাও কম ছিটে। আর যদি সাজতে চান, তবে অবশ্যই পানিনিরোধক সাজ উপাদান বেছে নিন, বিশেষ করে কাজল ব্যবহারে। এ তো গেল আপনার নিজের অঙ্গসজ্জা। এবার বৃষ্টি থেকে নিস্তার পাওয়ার জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়ার পালা।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানার প্রথম পরামর্শ হচ্ছে, একটি সুন্দর ঝোলা ব্যাগ ব্যবহার করা; সঙ্গে থাকা জিনিসগুলো লুকানোর একটা জায়গা তো চাই, তাই না?
ঝোলাটা যেন পানিনিরোধক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেন ফিরোজা সুলতানা। ব্যাগে একাধিক রুমাল রাখুন, সম্ভব হলে একটি বাড়তি পোশাক; যাতে ভিজে গেলে কর্মস্থলে গিয়ে বদলিয়ে নিতে পারেন। হাতঘড়িটাও যেন পানিনিরোধক হয়। ঝোলায় রাখতে পারেন একটি বর্ষাতি। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের কথা কিন্তু ভুলেই বসে আছেন…। একটি ছাতা অবশ্যই মনে করে ঝোলায় ঢুকিয়ে নিন। এবার প্রস্তুত তো আপনি। বৃষ্টির সাধ্য আছে আপনাকে ঠেকায়?
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ০৪, ২০১০
Leave a Reply