সমস্যাঃ একজন রোগীর বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছর। তাঁর ব্লাড প্রেসার ডায়াস্টলিক ৮০ ও সিস্টোলিক ১৭০। আবার কোনো রোগীর দেখা যায় ডায়াস্টলিক ১১০ ও সিস্টোলিক ১২০। বয়স সেই ৪৫ থেকে ৫০ বছর। এ অবস্থায় যদি ডায়াস্টলিক ও সিস্টোলিক চাপে সমন্বয় না থাকে, তাহলে ওই রোগী কি ওষুধ সেবন করতে পারে? উচ্চ রক্তচাপের রোগী বলে চিকিৎসক বলেন, যেন টেনশন না করি। আমিও টেনশন করতে চাই না, তবুও চলে আসে। এই টেনশন না করার কোনো ওষুধ আছে কি? কোনো টেনশন না থাকলেও প্রেসার বেশি থাকে।
এন এ ইসলাম খান
তারাগন, আখাউড়া।
পরামর্শঃ উচ্চ রক্তচাপের সংজ্ঞা অনুযায়ী যদি রক্তচাপ সিস্টোলিক (ওপরের প্রেসার) ১৪০ মিমি পারদ বা তার বেশি এবং ডায়াস্টলিক (নিচের প্রেসার) ৯০ মিমি পারদ বা তার বেশি হয় এবং একাধিক সময়ে মেপেও এ রকম বেশি পাওয়া যায়, তবেই তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হবে। সাধারণত ৪০ বছরের নিচের বয়সীদের ডায়াস্টলিক রক্তচাপই বেশি থাকে, আর ষাটোর্ধ্ব রোগীদের সিস্টোলিক প্রেসারই শুধু বেশি থাকে। আর মাঝবয়সীদের প্রায়ই দুটোই বেশি থাকে। সব ক্ষেত্রেই চিকিৎসা করতে হয় এবং সে ক্ষেত্রে টারগেট প্রেসার হলো চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তচাপ কমপক্ষে ১৪০/৯০ মিমি পারদ বা সম্ভব হলে (বিশেষ করে ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে) ১৩০/৮০ মিমি পারদের নিচে নামিয়ে আনতে হবে।
এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, কাম্য রক্তচাপের রেঞ্জটা তখন বয়স ও রোগীর সিম্পটম অনুযায়ী ১১০/৬০ থেকে ১৩০/৮০ মিমি পারদের মধ্যবর্তী যেকোনো রক্তচাপ হতে পারে। কম বয়সী রোগীদের বিশেষ করে যদি আর কোনো কার্ডিও ভাসকুলার রিস্ক ফ্যাক্টর (হৃদরোগ সম্পর্কিত ঝুঁকি) না থাকে, তাহলে লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের যে কথাগুলো আগে বলা হয়েছে, তাতেই অনেক রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ওষুধ কোনটি খাবেন, সেটি কিন্তু নির্ধারণ করবেন আপনার চিকিৎসক।
পরামর্শ দিয়েছেন
আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী
সহযোগী অধ্যাপক, কার্ডিওলজি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ০৮, ২০০৯
valo
িচন্তা না করলেও, অবচেতন মনে টেনশন হয় কেন ? এর থেকে মুিক্তর ঔষধ অাছে িক ?
চিন্তা থেকেই টেনশন আসে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবচেতন মনে টেনশন আসলে বুঝতে হবে মন বা শরীর খারাপ। এসময় একা না থেকে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোকজনের সাথে কথাবার্তা, আড্ডা দিয়ে মনকে অন্যকিছুতে ব্যস্ত রাখতে হবে।
সাধারণত ঔষধ লাগে না। তবে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত হলে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধের ব্যবস্থা করা উচিত।