হাইলাইটস
- দশটা-পাঁচটার চাকরির জাঁতাকলে আটকে রজত আর ব্যায়াম করার সময় পান না।
- এবং যতই মধ্য বয়সের দিকে এগোতে থাকেন, তাঁর শরীরের মধ্যপ্রদেশও সুপ্রশস্ত হতে থাকে।
- এবং এর ফলে ধীরে ধীরে একটার পর একটা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে শরীরে।
ঘটনাটা একা রজতের জীবনেই নয়। কমবেশি বহু বাঙালির ক্ষেত্রেই এই এক অবস্থা হয়। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কোনও বয়স নেই। কেউ যদি পঞ্চাশ পেরিয়েও যদি রোজ জিমে গিয়ে শারীরচর্চা করেন, তা হলে তাঁকে বাহবা দেওয়াই উচিত। কারণ শরীরের খেয়াল রাখা শুধু মাত্র সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং শরীরের তাগিদেই করা উচিত। মধ্য বয়সে পৌঁছে শরীরে হাজারটা রোগের সঞ্চার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্য দিকে, অনেকের ক্ষেত্রে এই বয়সটায় মোটিভেশনও সে ভাবে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে শুরু করতে হবে নিজেকেই। তা হলে মধ্য গগনে পৌঁছে কী ভাবেও শরীর ভালো রাখবেন এবং ওজন কমাবেন, দেখে নেওয়া যাক একে একে।
এখনই বন্ধ হোক মুখরোচক খাবার
সুস্বাস্থ্যের সবচেয়ে বড় অন্তরায় নানা ধরনের মুখরোচক খাবার। সিনেমা হল, নাটকের শো থেকে শুরু করে রোজকার অফিসের ডেস্কে বসে কিংবা বাড়ী ফিরে অথবা রেস্তরাঁ, পানশালায় গিয়ে মুখরোচক খাবারে পেট ভরার প্রবণতা অনেকেরই থাকে। আর এর মাধ্যমে কিলো কিলো কিলোক্যালরি শরীরে ঢোকে। প্যাকেটজাত খাবার এমনিতেই প্রচুর নুন এবং ক্ষতিকারর মষলায় ভর্তি। রাস্তায় তক্ষুনি বানিয়ে দেওয়া খাবার কেমন তেলে, কত মশলায় রান্না করা হয়, তার ইয়ত্তা নেই। ফলে এ ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যেস বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। যদি রাতারাতি স্ন্যাক্স খাওয়ার অযথা বদভ্যেস না বদলানো যায়, তা হলে এমন খাবার স্ন্যাকিংয়ের জন্য বেছে নিন, যা শরীরের ক্ষতি করে না। যেমন মাখনা বা ফক্স নাট, রোস্টেড ছোলা অথবা আমন্ড জাতীয় খাবার।
স্বামী বা স্ত্রীর প্রভাব মারাত্মক
অনেক বাড়িতেই রাতের খাবার শেষ করে একটা মিষ্টি বা একটু আইসক্রিম না হলে ঠিক মন ভরে না। এই চল অবশ্য বহু বাড়ির। স্বামী এবং স্ত্রী দু’জনেই যদি এই অভ্যেসের বশবর্তী হন, তা হলে বদল আনা মুশকিল। কিন্তু কেউ যদি মিষ্টি বা ডিজার্টের মন ভারতে চান রোজ এবং উল্টো দিকের মানুষটি যদি নিরস্ত করেন তা থেকে, তা হলে এই অভ্যেস বদলাতে বেশি সময় লাগে না। আবার স্বামী বা স্ত্রী যদি শরীর বা তার ওজন সম্পর্কে সচেতন হন, তা হলে তার দ্বরাও প্রভাবিত হন তাঁর সঙ্গী।
গোটা পরিবারকেও সামিল করুন এই সফরে
হতেই পারে পরিবারের বাকি সদস্যদের ওজন কমানোর দরকার নেই। কিন্তু নিজেকে মেনটেন করা বা ওজন ঠিক রাখার প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই আছে। সেখানেই আসে ডায়েটের ধারণা। অর্থাৎ পরিবারের সকলেই যদি কম তেলে, অল্প মশলায়, হালকা রান্না খেয়ে অভ্যস্ত হন, তা হলে আপনি নিজে চাইলেও রোজ বেশি তেলযুক্ত খাবার বাড়িতে খেতে পারবেন না।
ঘুমের যত্ন নিন
ওজন কমানোর জন্য যেমন নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া এবং ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরি, ঠিক তেমনই দরকারি নিজের ঘুমের দিকেও খেয়াল রাখা। মধ্য বয়সে অনেকেরই মনে হতাশা জন্মায়। তার পাশাপাশি সেডেন্টারি লাইফস্টাইলও জঁকিয়ে বসে। কাজের চিন্তা, পরিবারের চিন্তাও এবং ভবিষ্যতের সুরক্ষার কথা ভেবে অতিরিক্ত চাপ নেওয়াও অস্বাভাবিক নয়। ফলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে ঘুমেও। অনেকের জীবনে অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ার মতো সমস্যা প্রকট হয়। তাই ঘুম জরুরি। নিয়ম করে ঘুমোতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যেস করলেই চলবে না। বরং দেখতে হবে যে, সেই ঘুম যেন ভালো হয়। এর জন্য অ্যারোমাথেরাপি, হালকা কোনও মিউজিক শোনা কিংবা বই পড়ার মতো অভ্যেসকে কাজে লাগাতে পারেন।
কথায় আছে, ‘লাইফ বিগিন অ্যাট ফর্টিজ’। এ কিন্তু নেহাতই কথার কথা নয়। মধ্য বয়সকে সে ভাবে নিলে সহজেই তা চেপে বসে জীবনে। বরং মনে-প্রাণে চনমনে থাকার চেষ্টা করুন। দেখবেন মধ্য বয়সেও নিজেকে তরুণ বলে মনে করছেন। আর নিজেকে সুস্থ রাখতে ওজন কমানো বা ফিট রাখার মনোবলও পাওয়া যাচ্ছে শরীর এবং মনে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-09-06 15:44:33
Source link
Leave a Reply