ঘরে-বাইরে কাজের ব্যস্ততা কমিয়ে আনতে ওয়াশিং মেশিনের ভূমিকা কম নয়। ওয়াশিং মেশিনের ব্যবহার একসময় সবার সাধ্যের মধ্যে না থাকলেও ইদানীং অনেক বাড়িতেই এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিনের কাপড় ধোয়ার ঝামেলা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে ওয়াশিং মেশিন। এর ব্যবহারের নানা দিক নিয়ে এই প্রতিবেদন।
ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় কাপড় যাতে সঠিক উপায়ে পরিষ্কার করা যায় এবং সে ক্ষেত্রে কী করণীয়, সে সম্পর্কে বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা হক।
ওয়াশিং মেশিন হচ্ছে সময় বাঁচানোর যন্ত্র। সময় ও শক্তি কম লাগবে, ঠান্ডাও লাগবে না, কিন্তু কাপড় পরিষ্কার হবে। এ জন্যই ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করা হয়। তবে লক্ষ রাখতে হবে, রঙিন কাপড় ও সাদা কাপড় কখনোই একসঙ্গে মেশিনে দেওয়া যাবে না। তাহলে রঙিন কাপড়ের রং লেগে সাদা কাপড় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।
রঙিন কাপড় একসঙ্গে দিলেও যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। যেসব কাপড়ের রং ওঠার আশঙ্কা থাকে, যেসব কাপড় পৃথকভাবে ধোয়াই ভালো।
সুতি কাপড়ের সঙ্গে কৃত্রিম তন্তুর কাপড় না মেশানোই ভালো। কারণ দুটো পরিষ্কার হতে সময় কমবেশি লাগে।
কাপড়ের ময়লার ওপর নির্ভর করে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় ওয়াশিং মেশিনে কাপড় রাখলে কাপড়ের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার মেশিনটি ব্যয়বহুল হওয়ায় এর যন্ত্রাংশও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অবশ্যই কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার ও শুকানোর পর বাইরে রোদে দিতে হবে।
সতর্কতা
স্বল্প সময়ে কাপড় ধোয়া, পরিষ্কার করা, শুকানো—এসব কাজের জন্যই তো ওয়াশিং মেশিন। এর ব্যবহারে প্রয়োজন সতর্কতা অবলম্বন করা, যাতে দ্রুত নষ্ট না হয়ে যায়। বলছিলেন মেহেদী হাসান।
ওয়াশিং মেশিন কেনার পর কোন স্থানে রাখা হবে, অর্থাৎ স্থান নির্বাচনের বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ছোট বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। কিছু কিছু ওয়াশিং মেশিনে অবশ্য চাইল্ড লক রয়েছে, সেটা প্রয়োজনমতো ব্যবহার করতে হবে।
মেশিনের সঙ্গে যে পাওয়ার লাইন বা বৈদ্যুতিক সংযোগ রয়েছে, তাতে যেন পানি ঢুকতে না পারে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কেননা এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পাওয়ার লাইনের প্লাগ শক্ত করে লাগাতে হবে।
ধারণক্ষমতার বেশি কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার জন্য দেওয়া যাবে না।
কখনোই ওয়াশিং মেশিনে ভেজা কাপড় ধোওয়া যাবে না।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ০৪, ২০১০
Leave a Reply