হাইলাইটস
- সমীক্ষা জানা গিয়েছে যে, এক সপ্তাহ পর একটি বালিশের খোলে টয়লেট সিটের তুলনায় ১৭ হাজার গুণ বেশি ব্যাক্টিরিয়া থাকে।
- আবার যে খোলগুলি ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ধোয়া হয়নি, তাতে আপনার পোষ্যর খাবারের পাত্রের তুলনায় ৩৯ গুণ বেশি ব্যাক্টিরিয়া থাকে।
আমেরিস্লিপ-এর দ্বারা একটি সমীক্ষা করা হয়, যেখানে বিছানা চাদর ও বালিশের খোলের সঙ্গে বাড়ির অন্য বস্তুতে উপস্থিত ব্যাক্টিরিয়ার সংখ্যা তুলনা করে দেখা হয়। বিছানার চাদরে কত পরিমাণ ব্যাক্টিরিয়া জন্মাতে পারে, তা দেখার জন্য এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা ৪ সপ্তাহের জন্য নিজের বিছানার চাদর অপরিবর্তিত রাখেন।
সমীক্ষা জানা গিয়েছে যে, শুধু মাত্র এক সপ্তাহ পর একটি বালিশের খোলে টয়লেট সিটের তুলনায় ১৭ হাজার গুণ বেশি ব্যাক্টিরিয়া থাকে। আবার যে খোল গুলি ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ধোয়া হয়নি, তাতে আপনার পোষ্যর খাবারের পাত্রের তুলনায় ৩৯ গুণ বেশি ব্যাক্টিরিয়া থাকে।
এবার আপনি যদি ভেবে থাকেন, প্রতি সপ্তাহে বালিশের খোল পাল্টেই এই ব্যাক্টিরিয়ার হাত থেকে মুক্তি পাবেন, তা হলে আবার ভেবে দেখার সময় এটি। কারণ সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, এক সপ্তাহ পর বিছানার চাদরে বাথরুমের দরজার হাতলের চেয়েও বেশি ব্যাক্টিরিয়া থাকে। আবার মাত্র দুসপ্তাহ পর আপনার আদরের পোষার খেলনার তুলনায় চাদরে দ্বিগুণ সংখ্যক ব্যাক্টিরিয়া উপস্থিত হয়।
এই ব্যাক্টিরিয়া ও জীবাণু উষ্ণ এবং স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ ভালোবাসে। তাই আপনার বিছানাকেই তারা নিজের উপযুক্ত স্থান মনে করে থাকে। এর ফলে ধুলোকণার কারণে অ্যালার্জি হয়। এই অ্যালার্জির সাধারণ লক্ষণগুলি হল, চোখ ও নাক থেকে জল পড়া, হাঁচি আসা, ত্বকে জ্বালা ও কনজাস্টেড অনুভূত হওয়া।
অন্য একটি সমীক্ষায় নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির বায়োলজিস্ট রব ডান খুঁজে পান যে, বালিশের খোল ও টয়লেট সিটে সমপরিমাণ ব্যাক্টিরিয়া থাকে। এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বাড়ির টয়লেট, বিছানা, ফ্রিজ, কাউচ থেকে লালার নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি। সেই নমুনা পরীক্ষা করে উপরিউক্ত তথ্য পাওয়া যায়, পাশাপাশি এ-ও জানা যায় যে, বালিশের খোল ও টয়লেট সিটে দূষিত ও সংক্রমিত মলের উপস্থিতি রয়েছে।
আবার দ্য স্লিপ কাউন্সিলের অনুমান অনুযায়ী বালিশের মোট ওজনের ১০ শতাংশেরও বেশি, যা কখনও ধোয়া হয়নি, তাতে ত্বকের স্কেল, মোল্ড বা ফাঙ্গাস, ধুলোকণা ও তাদের ড্রপিং থাকে।
আবার এই সমীক্ষা থেকে এ-ও জানা গিয়েছে যে, ৭ বছর পুরনো বিছানার গদি থেকে ৪ ধরনের ব্যাক্টিরিয়ার উপস্থিতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এগুলির মধ্যে অন্যতম হল গ্রাম-পজিটিভ কক্কি ও ব্যাসিলি, যা ফুড পয়জনিংয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত বিছানার চাদর ধোয়া ও গদির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের ফলে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কম করা যাবে। তাঁদের মতে, ব্যাক্টিরিয়ার আশ্রয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, চাদর অর্ধেক মুড়ে রাখা উচিত। যাতে বিছানা শুকোতে পারে। কারণ এই স্যাঁতস্যাঁতে বিছানায় ব্যাক্টিরিয়া বৃদ্ধি পায়। আবার ধুলো, ময়লা দূরে রাখার জন্য ম্যাট্রেস প্রোটেক্টার ব্যবহার করা উচিত। সাত বছরের পুরনো ম্যাট্রেস পাল্টে ফেলার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবার দ্য স্লিপ কাউন্সিলের তরফে গরম জলে বিছানার চাদর ও বালিশের খোল পরিষ্কার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নোংরা ও বিপজ্জনক ব্যাক্টিরিয়া ধ্বংস করা যাবে। এটি করা সম্ভব না-হলে কোল্ড ওয়াশের আগে, নিজের বালিশ ফ্রিজারের মধ্যে রেখে দিন এর ফলে ধুলোকণাগুলি ধ্বংস হবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-09-04 13:38:47
Source link
Leave a Reply