চলছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের দাবদাহে তপ্ত রোদে নগরজীবন যেন অতিষ্ঠ। আর এ নগরজীবনে আরও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় কাপড়ের ঘামের দুর্গন্ধের কারণে। শুধু ঘাম হলেই কিন্তু কাপড় দুর্গন্ধ হয় না। ঘামটা অনেক সময় জমে দুর্গন্ধ হয়ে যায় কাপড়ে। বিশেষ করে যানবাহনে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় একেক জনের কাপড়ের দুর্গন্ধের কারণে। কাপড়ের ঘামের দুর্গন্ধ একদিকে যেমন নিজের সৌন্দর্য প্রকাশে বিঘ্ন ঘটায়, তেমনি অন্যের কাছেও অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে, ব্যক্তিত্বের প্রকাশেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
তাই গরমের এ প্রচণ্ড দাবদাহে নিজেকে যেন অস্বস্তিকর কিংবা বিরক্তিকর অবস্থায় পড়তে না হয়, সে জন্য প্রয়োজন কাপড়ের সঠিক যত্ন। তাই গরমে কাপড়কে কীভাবে যত্ন করে রাখলে ঘামের দুর্গন্ধের বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না, সে সম্পর্কে বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
গরমের এ সময়ে ছোট-বড় সবার জন্যই সুতির পোশাক পরা আরামদায়ক।
এ সময়ে কৃত্রিম তন্তুর (সিনথেটিক) কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এ কাপড়ে ঘামের দুর্গন্ধ হয় দ্রুত।
বাসায় ফিরেই পরনের পোশাক ফ্যানের নিচে মেলে দিতে হবে, যাতে বাতাসে ঘাম শুকিয়ে যায়।
প্রয়োজনে কাপড়চোপড় রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
সম্ভব হলে প্রতিদিন কাপড়চোপড় ব্যবহারের পরপরই ধুয়ে ফেলতে হবে ডিটারজেন্ট দিয়ে, ফলে ঘামের দুর্গন্ধ আসবে না।
কখনোই ঘামে ভেজা কাপড় দলা করে রাখা যাবে না, তাতে কাপড়ে তিলা পড়তে পারে, এ জন্য ব্যবহার্য কাপড় আলাদা আলাদাভাবে মেলে বাতাসে শুকিয়ে রাখতে হবে।
কাপড় ভালোভাবে রোদে কিংবা বাতাসে শুকিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে।
কাপড় রাখার স্থানে অবশ্যই ন্যাপথলিন দিয়ে রাখতে হবে।
মাড় দেওয়া ইস্ত্রি করা কাপড় বেশি দিন নির্দিষ্ট স্থানে তুলে রাখা যাবে না, ব্যবহার করতে হবে।
কাপড়চোপড় প্রয়োজনে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বাতাসে শুকাতে হবে।
গরমের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে না চাইলে কিংবা পরিধেয় কাপড় থেকে যেন দুর্গন্ধ এসে বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, এ জন্য এখনই নিজে সতর্ক হোন আর পরিবারকে সতর্ক করে তুলুন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ২৭, ২০১০
Leave a Reply