হাইলাইটস
- সখ করে আচার, জ্যাম জেলি বানিয়েছেন কিংবা অতিরিক্ত স্যান্ডুইচ পড়ে আছে।
- অথবা দিন দুয়েক আগে পাঁউরুটি কিনেছেন।
- খেতে বা খাওয়াতে গিয়ে দেখলেন তাতে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস পড়েছে।
এলে না হয় ঝোরো তখন অঝোর ধারে
যাতে সে যেতে চেয়েও যেতে নাহি পারে…
আর এই গান প্রেয়সী বর্ষার বদলে যদি ছত্রাক মশাই শুনে নেন তাহলেই হয়েছে। হঠাৎ রোদ হঠাৎ বৃষ্টির আনাগোনায় এমনিতেই মহা বিপদ হয়েছে। সর্দি, কাশি, গলা খুস খুস, ভাইরাল জ্বর লেগেই আছে। তার উপর মড়ার মতো খাঁড়ার ঘা হল ঘরের অতিরিক্ত কাজ। এই গরম, ঠান্ডা, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়াতেই ঘরের খাবারে বাসা বাঁধতে শুরু করেন ছত্রাক মশাই। পাঁউরুটি, আচার, জ্যাম, জেলি, মাখন কিচ্ছুটিকে বাদ দেন না। একটু অসচেতন হয়েছো কী খাবারের উপরে সাদা বা সবুজে রঙের ছত্রাক জ্বল জ্বল করতে শুরু করবে। পচনশীল খাবার হলে তো কথাই নেই।
সখ করে আচার, জ্যাম জেলি বানিয়েছেন কিংবা অতিরিক্ত স্যান্ডুইচ পড়ে আছে। অথবা দিন দুয়েক আগে পাঁউরুটি কিনেছেন। খেতে বা খাওয়াতে গিয়ে দেখলেন তাতে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস পড়েছে। তালিকায় থাকে মাখন, বাদামের (কাজু, পেস্তা, কাঠ, চিনা, আমন্ড) মতো জিনিসও। আর এসব দেখে কার না মাথা গরম হয়? একে তো খিদের সময় খাওয়া নষ্ট তার উপর এই মাগ্যিগণ্ডার বাজারে সেসব ফেলে দিতে বড্ড গায়ে লাগে।
প্রকৃতির সঙ্গে তো আর লড়াই করা যাবে না। তাই নিজেকেই সচেতন হতে হবে। এই সব খাবার সংরক্ষণ করতে হবে সাবধানে এবং কয়েকটি নিয়ম মেনে। শাধু তাই নয় পাশাপাশি খাবারগুলির পুষ্টিগুণও যাতে ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
ছত্রাকে বিপদ
ছত্রাকের প্রকারভেদ অনেক। তবে খাবারের মধ্যে প্রধানত দুই ধরনের ছত্রাক জমে থাকে। একটি সাদা তুলোর মতো অন্যটি সবুজ। দেখলেই বোঝা যায় যে সেগুলি শরীরের পক্ষে ভয়ঙ্কর। মূলত এগুলি খালি চোখে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে কোনও কোনও ছত্রাক আবার চোখে দেখা যায় না। অনেকে আবার খাবারের ছত্রাক অংশ চেঁছে ফেলে দিয়ে বাকি খাবারটুকু খেয়ে ফেলেন। কিন্তু এটা করা আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়। খাবারে ছত্রাক জমলে পুরোটাই ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ছত্রাক পড়লে প্রথমেই নষ্ট হয় খাবারের ভিটামিন এবং মিনারেল। তারপর ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে খাবারের প্রোটিন। ছত্রাক শরীরে ঢুকলে অ্যালার্জি, পেটের অসুখ, অন্ত্রে অসুখের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরবর্তী সময়ে তা মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে।
তাই খাবারে ছত্রাক যাতে না ধরে তার জন্য রইল কিছু পরামর্শ
পাঁউরুটি
প্রথমত পাঁউরুটি কেনার সময় তার প্যাকেটের গায়ে এক্সপায়ারি ডেট দেখে নেবেন। সেই সময়ের মধ্যে পাঁউরুটি খেয়ে ফেলাই উচিত। ঘরে পাঁউরুটি বানালে শুকনো ইস্ট দিয়ে বানাবেন। তার ফলে রুটিতে ছত্রাক জমবে না। আবার এমনি ফ্রিজের বদলে ডিপ ফ্রিজে পাঁউরুটি রাখলেও তাতে ছত্রাক জমে না। সেক্ষেত্রে খাবার আধঘণ্টা আগে রুটিটি বের করে নিতে হয়।
আচার
আচারে ছত্রাক জমার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। প্রথমত অপরিষ্কার হাতে আচার ধরলে তাতে ছত্রাক হয়, মানুষের লালা কিংবা ঘাম আচারে পড়লেও তাতে ছত্রাক ধরে। তাই আচারের শিশি থেকে হাত দিয়ে আচার বের করা অনুচিত। চামচে করে আচার বের করলেও খেয়াল রাখতে হবে যে তা ভিজে বা অপরিষ্কার না হয়। আচার কাঁচের বোতলে রাখলে এবং নিয়মিত রোদে দিলে তাতে ছত্রাক ধরে না।
জ্যাম
দোকানের জ্যামে ছত্রাকবিরোধী উপাদান মেশানো থাকে। তাই সাধারণভাবে ফ্রিজে রেখে দিলেই হয়। কিন্তু বার বার তা ফ্রিজ থেকে বের করে ব্যবহার করলে তাতে সহজেই ছত্রাক পড়ে। তাই জ্যাম ব্যবহারের সঙ্গেই সঙ্গেই তা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা দরকার।
বিস্কুট
বিস্কুট প্যাকেটের মধ্যে রেখে দিলে সহজে তাতে ছত্রাক ধরে না। তাই প্যাকেট থেকে কৌটোয় না খুলে প্যাকেট সুদ্ধ কৌটোয় বিস্তুক রেখে দিতে পারেন। আর কৌটো যেন এয়ার টাইট হয়।
মাখন
মাখনে সহজেই ছত্রাক পড়ে। তাই বাইরে না রেখে মাখন সবসময় মুখবন্ধ কৌটোয় ফ্রিজে রাখা উচিত। অপরিষ্কার হাত বা চামচে মাখন ধরা উচিত নয়।
বাদাম
বাদাম বা বাদামজাত খাবার যেমন বাদামের বিস্কুট, কুকিজ, গুড়-বাদাম ইত্যাদি প্যাকেটে রাখাই ভালো। তাতে ছত্রাক পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। খোলা বাদাম অনেক দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে মাইক্রো ওভেনে ৩০ সেকেন্ড মতো গরম করে তা ঠান্ডা করে ফের এয়ার টাইট কৌটোয় রেখে দিন। অনেক দিন থাকবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-25 16:25:11
Source link
Leave a Reply