হাইলাইটস
- ইদানীং কালে বহু ছেলেমেয়ের ধারণা যে, ক্যান্ডি সিগারেট, ই-সিগারেট কিংবা হুকার মাধ্যমে সেবন করলে ধূমপান ক্ষতিকারক হয় না।
- সত্যিকারের ঘটনার উদাহরণ তুলে এনে বোঝান যে, ধূমপান সত্যিই স্বাস্থ্যের কতটা ক্ষতি করে।
আলোচনায় বসুন: একটা সময়ের পরে সন্তান এবং বাবা-মায়ের সম্পর্ক বন্ধুর মতো হয়ে যায়। এটা শুধু কাগুজে কথা নয়। সত্যিই যদি তা-ই মনে করেন, তাহলে সন্তানকে ধূমপান করতে দেখলে আগে খোলা মনে আলোচনায় বসুন। জানার চেষ্টা করুন, আদৌ সে স্মোকিং সম্পর্কে কতটা জানে। আলোচনা মানে কিন্তু তাকে জেরা করা নয়।
‘না’ বলা জরুরি: যতই সন্তানকে তার পরিস্থিতিতে রেখে বোঝার চেষ্টা করুন, এ কথা মানতেই হবে যে, এই বয়সে সহপাঠীদের অত্যন্ত মানসিক চাপ থাকে তাদের ওপর। সন্তানকে বোঝানে যে, কোনও বন্ধু যপদি অত্যন্ত জোর করে ধূমপানের জন্য, তাকে সরাসরি ‘না’ বলা জরুরি। কাউকে ‘না’ বলার মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। বরং তা সাহসেরই পরিচয় দেয়।
স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখুন: শুধু মাত্র সিগারেট নয়, ইদানীং কালে বহু ছেলেমেয়ের ধারণা যে, ক্যান্ডি সিগারেট, ই-সিগারেট কিংবা হুকার মাধ্যমে সেবন করলে ধূমপান ক্ষতিকারক হয় না। সত্যিকারের ঘটনার উদাহরণ তুলে এনে বোঝান যে, ধূমপান সত্যিই স্বাস্থ্যের কতটা ক্ষতি করে। তবে বোঝানোর পদ্ধতি যেন বন্ধুসুলভ হয়। এমনকি এই উদাহরণও দিতে পারেন যে, সিনেমা-সিরিয়াল-ওয়েব সিরিজে যতই ধুমপানের দৃশ্য থাকুক না কেন, তার তলায় কিন্তু ‘বিধিসম্মত সতর্কীকরণ’ ভেসে ওঠে। অর্থাৎ তা আদতে ক্ষতিকর সেটাই বোঝানো হয়।
টাকাও নষ্ট: রোজ একটা করেও ধূমপান করলেও প্রতি সপ্তাহে কত টাকা নষ্ট হয় এবং সেই টাকা গুণ করলে বছরশেষে তার অঙ্কটা কী দাঁড়ায়, সে বিষয়ে একটা হিসেব দিতে পারেন। এত টাকা দিয়ে ধূমপান না করে সেই টাকা জমিয়ে তারই পছন্দের কোনও কিছু কিনতে পারে সে। তার জন্য বাবা-মায়ের ওপরেও নির্ভর করতে হবে না।
একটি মাত্র সিগারেটও ক্ষতিকর: অনেক সময়ে বন্ধুদের চাপে পড়ে বা নেহাতই কৌতূহলের ছলে অনেকে সিগারেট ধরানোর আগে ভাবে যে, ‘এক বারই তো খাচ্ছি, কী এমন ক্ষতি হবে’। কিন্তু একটা মাত্র সিগারেটও যে আদতে বিষাক্ত ও ক্ষতিকর, তা বোঝানোর চেষ্টা করুন তাকে। এটাও বলতে পারেন, এই একটা একটা করে সিগারেট সেবনই হয়তো কাউকে ঠেলে দেয় সার জীবনের এক নেশাচক্রের দিকে।
ধূমপান করা মানেই বিপ্লবী হওয়া নয়: হাতে জ্বলন্ত সিগারেট থাকা মানেই কিন্তু বিপ্লবী বা প্রতিবাদী হওয়া নয়। অনেক সময়ে অনেকে মনে করে, সিগারেট ধরালে অত্যন্ত স্মার্ট লাগে অথবা স্ট্রেস কিংবা চাপে থাকলে তা কাটিয়ে ওঠার উপায় একমাত্র ধূমপানই। সন্তানকে বোঝানেও চেষ্টা করুন, এই ধরনের ভাবনা কিন্তু আসলে বড় না হওয়ার প্রতীকী।
নিজেই উদাহরণ হোন: হতেই পারে মা-বাবাই হয়তো ধূমপানে আসক্ত। ফলে ছেলেমেয়েকে কী ভাবে বারণ করবেন, সে পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। সে ক্ষেত্রে নিজেই বদভ্যাস বদলান। সন্তানকে বোঝান কেন ধুমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। সে ক্ষেত্রে নিজেই নজির তৈরি করুন সন্তানের কাছে।
বয়ঃসন্ধির সময়টি বড় বিপজ্জনক, এ কথা নেহাতই প্রবাদবাক্য নয়। ধীরে ধীরে দুনিয়ার সঙ্গে পরিচিত হতে থাকা সন্তানটি যে আদতে স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতার পথে হাঁটছে না, তা বোঝানোর দায়িত্ব অভিভাবকদেরই। তবে খেয়াল রাখুন, কড়া শাসনে নয়, সন্তানকে পথে আনার উপায় হোক বন্ধুত্বপূর্ণ। তবেই না গড়ে উঠবে একটা সুস্থ, ধূমপানহীন সমাজ!
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-24 16:39:29
Source link
Leave a Reply