ক্যান্সার সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে ক্যান্সার নির্ণয়ের পরেই রোগী এবং তার আত্মীয়-স্বজন অসহায়বোধ করেন। ক্যান্সার চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও রয়েছে অনেকের ভ্রান্ত-ধারণা ও অমূলক আতংক। আমাদের দেশে এখনো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ে অনেক দেরিতে, যখন নিরাময়মূলক চিকিৎসার সুযোগ থাকে না। প্রাথমিক অবস্থায় বা শুরুতে এ রোগ নির্ণীত হলে শতভাগ নিরাময় সম্ভব।
স্তন ক্যান্সার
স্তন ক্যান্সার যত শীঘ্র নির্ণীত হয়, চিকিৎসা ততবেশি সহজ ও ফলপ্রসূ হয়। ব্রেস্ট সেলফ, এক্সামিনেশন বা নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা ২০-৩৯ বছর প্রতিমাসে একবার নিজে স্তন পরীক্ষা করুন। ৪০ বছর পর প্রতিবছর চিকিৎসক দিয়ে স্তন পরীক্ষা করান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ম্যামোগ্রাম না করাই উত্তম।
সূচনায় কোলন বা রেকটাল ক্যান্সার
মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটলে বা ৫০ বছর পর প্রতিবছর মল পরীক্ষা করানো। প্রতি ৫ বছর পর সিগময়েডোসকপি এবং ১০ বছর পর পর কলনোসকপি পরীক্ষা করানো।
প্রোস্টেট ক্যান্সার
সাধারণত ৫০-৬০ বছর ঊর্ধ্ব পুরুষদের এই রোগ হয়। ৫০-৬০ বয়স থেকে প্রতিবছর করানো এবং ডিআরই করালে শুরুতে এই রোগ নির্ণয় করা যায়। সূচনায় শনাক্ত করা গেলে রোগীকে কমপক্ষে ১০ বছর বাঁচানো সম্ভব।
জরায়ু ক্যান্সার
অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ এ রোগের প্রধান লক্ষণ। কম খরচে এই ক্যান্সার নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি হলো ‘প্যাপ টেস্ট’ অপারেশন বা অজ্ঞান ছাড়া শুধুমাত্র জরায়ুমুখের নিঃসৃত কোষ কলা নিয়ে এ পরীক্ষা করা হয়। ৩০ বছর বয়স থেকে এ পরীক্ষা করানো উত্তম। সূচনাপর্বে যথাযোগ্য চিকিৎসা করালে জরায়ুর ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব।
লেখকঃ ডাঃ জিএম আব্দুস সালাম
উৎসঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ১১ নভেম্বর ২০০৭
Leave a Reply