হাইলাইটস
- সাবধানের মার নেই। অনেকেই অরুণকে ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দিলেন।
- কিন্তু প্রাইভেট কোম্পানির চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের উচপদস্থদের কাছ থেকে ছুটি চাওয়া আর তাঁদের কিডনি চাওয়া দুই-ই সমান।
- গা ম্যাজ ম্যাজ নিয়েই অফিস করতে হবে তাঁকে।
সাবধানের মার নেই। অনেকেই অরুণকে ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু প্রাইভেট কোম্পানির চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের উচপদস্থদের কাছ থেকে ছুটি চাওয়া আর তাঁদের কিডনি চাওয়া দুই-ই সমান। গা ম্যাজ ম্যাজ নিয়েই অফিস করতে হবে তাঁকে।
বর্ষা, মশা, আবহাওয়ার পরিবর্তন প্রভৃতি নানা কারণে জ্বর আসা স্বাভাবিক। এই ভাইরাল ফিভার আবার বড্ড ছোঁয়াচে। সঙ্গে থাকে অস্বস্তিকর সর্দি-কাশি। তাই সাবধানে থাকতেই হয়। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাই অনেকটা কাজ করে দেয়। আর সেই ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গেলে এই খাবারগুলি খেতেই হবে।
তুলসি
যে কোনও বাঙালি হিন্দু বাড়িতে একটি বা একাধিক তুলসী গাছ থাকবেই থাকবে। তাছাড়া বাজার থেকে ফুল কিনে আনার সময়ই সঙ্গে তুলসীপাতা থাকে। নিয়মিত তুলসী এবং মধু খেলে সর্দি-কাশি হয় না। এছাড়াও তুলসী পাতার নিয়মিত সেবনে ব্রণ-ফুসকুরি প্রতিরোধ হয়, ডায়বিটিস, ক্যান্সার, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, এবং ভাইরাল ফিভার প্রতিরোধে দারুণ কাজ দেয়।
গুলঞ্চ
করোনা সংকটের সময় গুলঞ্চের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগ প্রতিরোধে অব্যর্থ ভেষজ এই গুলঞ্চ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের খনি। জ্বর, ডায়বিটিস, আর্থারাইটিস, বদহজম, উদ্বেগ এবং হাঁপানির মতো অসুখ সারাতে এটি এক নম্বর।
কিশমিশ
পোলাও হোক বা পায়েস, কেক হোক বা কুকিজ কিশমিশ না হলে যেন তার স্বাদ সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এই পুষ্টিগুণও ব্যাপক। কিশমিশে থাকে ভিটামিন, মিনারেল এবং ইলেক্ট্রোলাইস্। এগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় কিশমিশ ক্যান্সার, ধমনীর রোগ, অ্যালার্জি এবং ব্লাড প্রেশার প্রতিরোধেও দারুণ কার্যকরী। নিয়মিত এক মুঠো কিশমিশ খেতে ভাইরাল ফিভারের হাত থেকে যেমন মুক্তি মিলবে তেমনই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
হুইট গ্রাস
হুইট গ্রাসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল। হুইট গ্রাসের গুঁড়ো ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। আবার চাইলে বাড়িতেও হুইট গ্রাস রোপণ করা যায়। নিয়মিত এর সেবনে হজম শক্তি বাড়ে, রক্ত চলাচল ভালো রাখে, শরীরের পটাশিয়াম এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করে।
অ্যালোভেরা
শুনতে অবাক লাগলেও অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীও কিন্তু ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য দারুণ উপকারী। ভেষজগুণের কারণে অনেকের বাড়িতেই অ্যালোভেরা গাছ থাকে। অ্যালোভেরা ভিটামিন এবং মিনারেলে ভরপুর। ত্বকের সমস্যা, বদবজম সারাতে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাংগাল এবং অ্যান্টিবায়োটিক। ভাইরাল সংক্রমণ সারাতে এটি ওস্তাদ।
পেঁপের পাতা
কাঁচা হোক বা পাকা রোগ প্রতিরোধে এবং রোগ সারাতে পেঁপের গুণের কোনও তুলনা হয় না। কিন্তু ফলের সঙ্গে সঙ্গে গাছের পাতাটিও যে সমান তালে উপকারী তা হয়তো অনেকেই জানেন না। স্বাদে তেতো হলেও এর ভেষজগুণ অনেক। পেঁপের পাতা ডেঙ্গুর জ্বর সারাতে দারুণ কার্যকরী। এই পাতার রস খেলে শরীরের প্লেটলেট কাউন্ট বাড়ে। শুধু ডেঙ্গুই নয় এর পাশাপাশি ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়ার মতো অসুখের জ্বরও সেরে যায় পেঁপের পাতার রস খেলে। পেঁপের পাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রন। এগুলি রোগ প্রতিরোধে মহৌষধী। তবে অত্যাধিক তেঁতো হওয়ার কারণে অনেকেই পেঁপে পাতার রস খেতে চান না। তবে এর সঙ্গে শসা মিশিয়ে খেলে তেতো ভাবটা অনেক কম লাগে।
ডুমুর
ড্রাই ফ্রুট-এর প্লেটে কাজু, কিশমিশ, আখরোট, আমন্ডের সঙ্গে সমহিমায় বিরাজ করে ডুমুর বা অঞ্জির। পোলাও, পায়েসের স্বাদ বাড়াতে ইনিও খানিকটা দায়ি বটে। কিন্তু স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই শুকনো ফলটি খুব ভালো। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। নিয়মিত ডুমুর খেলে ব্লাড প্রেশার, ক্যান্সার, ডায়বিটিস এবং হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ হয। অনেকে ওজন কমানোর জন্যও ডুমুর বা অঞ্জির খেয়ে থাকেন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-08-19 18:04:11
Source link
Leave a Reply