হাইলাইটস
- বাড়িতে রেফ্রিজারেটর আছে মানেই শান্তি। রান্না বান্না, ফল, সবজি জল, দুধ মিষ্টি, কাঁচা বাজার সব রেখে দাও।
- তারপর প্রয়োজনমতো তা বের করে খাও। অফিসের দিনগুলিতে ফ্রিজই মধ্যবিত্তের প্রধান ভরসা।
সপ্তাহের খাবার তৈরি করে ফ্রিজের নির্দিষ্টে পাত্রে রেখে দিয়ে অনেকেই খাবারের সমস্যার সমাধান করেন। রেডি টু ইট খাবারও ফ্রিজে রেখে দেন। ব্যাচেলরদের কাছে তো ফ্রিজ মানে আশীর্বাদ। কিন্তু তাই বলে সব খাবারই ফ্রিজে ভালো থাকে এই ধারণাটি কিন্তু ঠিক নয়। রেফ্রিজারেইটরে রাখার কারণে কিছু খাবারের স্বাদ, ঘ্রাণ এবং মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই খাবারের ধরন বুঝে তা সংরক্ষণ করা উচিত।
যে খাবারগুলি রেফ্রিজারেটরে রাখা উচিত নয়-
আলু
ঠান্ডা তাপমাত্রায় আলুর ‘স্টার্চ’ শর্করায় পরিণত হয়। সেই আলু খেলে শরীরের শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ডায়বিটিস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়। আলু না ধুয়ে সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখা উচিত। তবে রান্না করা আলু ফ্রিজে রাখলে বিশেষ ক্ষতি হয় না।
মিষ্টি আলু
আলুর মতো মিষ্টি আলুও ফ্রিজে রাখলে তার স্বাদ এবং গঠনে পরিবর্তন আসে। আলু তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। শর্করার পরিমাণও বেড়ে যায়। সাধারণ আলুর মতো মিষ্টি আলুকেও ছায়ায় রাখা উচিত। এবং সেখানে যেন ভালোমতো বাতাস চলাচল করে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ সব সময় খোলা রাখাই ভালো। ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাছাড়া ফ্রিজে খোলাভাবে পেঁয়াজ রাখলে বিচ্ছিরি গন্ধ হয়ে যায়। তার চেয়ে এয়ার টাইট পাত্রে পেঁয়ার কেটে রেখে দিলে দিন দুয়েক ভালো থাকে।
রসুন
একই অবস্থা হয় রসুনের ক্ষেত্রেও। রসুনের খোসা না ছাড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিলে আর্দ্রতার কারণে তা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। পেঁয়াজ, আলুর মতো রসুনকেও খোলা জায়গায় রাখা উচিত। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে বা বেটে এয়ার টাইট পাত্রে রেখে ফ্রিজে রাখা যেতেই পারে। তাছাড়া রসুনের গন্ধ ফ্রিজে একবার ছড়িয়ে পড়লে সহজে যেতে চায় না।
টমেটো
ফ্রিজে টমেটো রাখাও অনুচিত। বেশিদিন টোম্যাটো রাখলে তা নরম হয়ে যায়। তার থেকে রস বেরিয়ে যায়। ফলে টোম্যাটোর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। জলে ধুয়ে শোকানোর পর বাতাস চলাচল করে এমন জায়গাতেই টোম্যাটো রাখা উচিত।
টম্যাটো সস্ বা কেচাপ
টম্যাটোর মতো টোম্যাটো সস্ বা কেচাপেও ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। সস্ বা কেচাপে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিনিগার, নুন এবং চিনি। সেগুলি ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে ঘরের তাপমাত্রায় রাখাই ভালো।
সয়া সস
অনেকেই সয়া সস্ ফ্রিজে রাখেন। তবে সয়া সস্ ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে সেটি অনেদিন ভালো থাকে।
কুমড়ো
কুমড়ো সবসময় বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখা উচিত। ফ্রিজে কুমড়ো রাখলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় বা শুকিয়ে যায়।
আম
কাঁচা আম ফ্রিজে রাখলে পাকতে সময় নেয়। তাই কাঁচা আম পাকাতে চাইলে তা ফ্রিজে না রাখাই ভালো। পাকা আম টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিলে তা কালো হয়ে যায়। দেখতে খারাপ লাগে।
মধু
অনেকেই মধু ফ্রিজে রাখবেন কিনা জিজ্ঞেস করেন। উত্তর হল একদমই নয়। ফ্রিজে মধু রাখলে তা জমে যায়। তখন সেটি খাওয়া অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে।
অলিভ অয়েল
তেল জাতীয় জিনিস ফ্রিজে রাখা একে বারেই উচিত নয়। তার উপর তেল যদি হয় জলপাইয়ের তাহলে তো একেবারেই নয়। ফ্রিজে অলিভ অয়েল রাখলে তা ঘোলাটে এবং দানাযুক্ত এবং ঘন হয়ে যায়। অলিভ অয়েল স্বাভাবিক উষ্ণতাতেই রাখা উচিত।
বাদাম
বাদাম এমনি খোলাভাবে ফ্রিজে রাখলে তা একেবারে নরম হয়ে যাবে। তাই ফ্রিজে বাদাম রাখাটা বোকামি। তবে বেশিদিন ধরে বাদাম সংরক্ষণ করতে চাইলে এয়ারটাইট কৌটোয় বাদাম ভরে রাখা যায়। বহুদিন পর্যন্ত বাদাম ঠিক থাকবে।
রুটি
রুটি ফ্রিজে রাখলে তার স্বাদ এবং গঠনে পরিবর্তন হয়। রুটি শুকিয়ে পাঁপড়ভাজার মতো হয়ে যায়। এমনকি রুটিতে ছত্রাকও জন্মে যায়।
কফি
ফ্রিজে কফি রাখলে তার সুগন্ধ নষ্ট হয়ে যায়। কফি জমে যায়। স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রিজের পরিবর্তেন কফি সবসময় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত।
পিঠে বা মিষ্টি বা কেক
পিঠে, মিষ্টি, কেক, কুকিজ ফ্রিজে রাখলে ঠান্ডায় তার স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। সেকারণে এগুলি খোলা না রেখে এয়ারটাইট বাক্সে রাখা উচিত।
ড্রাই ফ্রুটস্
শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস্ কখনওই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এতে শুকনো ফলগুলি নরম হয়ে স্বাদ হারিয়ে ফেলে।
গুঁড়ো মশলা
শুকনো গুঁড়ো মশলা ফ্রিজে রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়। এর মেয়াদ অক্ষুন্ন রাখতে অন্ধকার এবং শুষ্ক স্থানে রাখা উচিত। তাপমাত্রা হবে স্বাভাবিক।
শাকপাতা বা ভেষজ
তুলসি, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, পালং শাক, পুঁইশাক ইত্যাদি ফ্রিজে না রাখাই উচিত। ফ্রিজে এগুলি টাটকা থাকলে বাইরে নিয়ে আসা মাত্র তা শুকিয়ে স্বাদহীন হযে যায়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-19 17:29:07
Source link
Leave a Reply