হাইলাইটস
- শরীর সুস্থ রাখতে ও সুষ্ঠু ভাবে তার চালনা করতে সাহায্য করে ১৩টি অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন।
- এই ভিটামিনগুলি আবার দুটি ভাগে বিভক্ত— জলে দ্রাব্য ভিটামিন এবং ফ্যাটে দ্রাব্য ভিটামিন।
- জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত ভিটামিন কে ইনটেক অ্যান্ড অ্যাথেরোস্ক্লেরোটিক কার্ডিওভাসকুলার ডিসিস ইন দ্য ড্যানিশ ডায়েট ক্যান্সার অ্যান্ড হেল্থ স্টাডি শীর্ষক একটি অধ্যয়ন অনুযায়ী খাদ্য তালিকায় ভিটামিন কে-র উপস্থিতি অ্যাথেরোস্ক্লেরোটিক কার্ডিওভাসকুলার ডিসিসের ঝুঁকি কম করে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
নিউ এডিথ কাওয়ান ইউনিভার্সিটির সমীক্ষক এবং অধ্যয়নের সিনিয়র অথার ড: নিকোলা বোনডোন্নো জানিয়েছেন, ‘ভিটামিন কে গ্রহণের ক্ষেত্রে যে সাম্প্রতিক ডায়েটারি গাইডলাইন রয়েছে, তা সাধারণত রক্ত জমাট বাঁধা সুনিশ্চিত করার জন্য একটি ব্যক্তি কতটা পরিমাণে ভিটামিন কে১ গ্রহণ করছে তাঁর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তবে এমন অনেক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, যা থেকে জানা যায় বর্ণিত গাইডলাইনসের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন কে গ্রহণের ফলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো রোগ থেকে নিরাপত্তা লাভ করা যায়। তবে এই প্রক্রিয়া বোঝার জন্য বিস্তৃত সমীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের মনে হয় যে, ভাসকুলার ক্যালসিফিকেশন বা গুরুত্বপূর্ণ ধমনীতে ক্যালশিয়াম গড়ে তোলার প্রবণতার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রদান করে ভিটামিন কে।’
ভিটামিন কে-র উপকারিতা
১. হাড় শক্তিশালী করতে ভিটামিন কে সাহায্য করে। এর ফলে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। এ বিষয় আরও গবেষণার প্রয়োজন। তবে কম পরিমাণে ভিটামিন কে গ্রহণ এবং অস্টিওপোরোসিসের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি সকলেই লক্ষ্য করেছেন।
২. এই ভিটামিন কগনিটিভ হেল্থকে উন্নত করতে সাহায্য করে। রক্তে ভিটামিন কে-র বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পরিমাণকে বয়স্কদের মধ্যে উন্নত এপিসোডিক মেমোরির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
৩. হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। মিনারেলাইজেশন প্রতিরোধ করে রক্তচাপ কম করতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। মিনারেলাইজেশনে ধমনীর মধ্যে মিনারেল জমা হতে থাকে। এটি সাধারণত বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হতে দেখা যায়, যা হৃদরোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির বিষয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে গ্রহণের ফলে স্ট্রোকের আশঙ্কাও কমানো যায়।
৪. রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে ভিটামিন কে।
৫. রক্তে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই ভিটামিন।
কী খাবেন?
সবুজ শাক-সবজি, কেল, ব্রকোলি, পালক শাক, কিউয়ি, আভাকাডো, মুরগির মাংস, সবুজ বিনস, বেকন, ভেজিটেবল অয়েল, সোয়াবীন, দুগ্ধজাত উপাদান, ডিম, ফার্মেন্টেড সোয়াবীন বা জাপানিস নাট্টো ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে। উল্লেখ্য,
১. ১০টি পার্সলের স্প্রিঙ্গসে ৯০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে থাকে।
২. ৩ আউন্স নাট্টো খেলে, তা থেকে ৮৫০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পাওয়া যায়।
৩. ফ্রোজেন ও সেদ্ধ কোলার্ড গ্রিনসের হাফ সার্ভিংয়ে ৫৩০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে থাকে।
৪. এক কাপ কাঁচা পালক শাকে ভিটামিন কে থাকে ১৪৫ মাইক্রোগ্রাম।
৫. ১ টেবল চামচ সোয়াবীন তেলে ২৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে থাকে।
৬. আধ কাপ আঙুরে ১১ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পাওয়া যায়।
৭. আবার কঠিন ভাবে সেদ্ধ করা ডিম খেলে ৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পাবেন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-13 14:40:09
Source link
Leave a Reply