হাইলাইটস
- Liver Cirrhosis-এর ফলে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলে।
- অনেক ক্ষেত্রেই লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগী লিভারের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- প্রাথমিক পর্যায়ে Liver Cirrhosis-এ আক্রান্ত ব্যক্তির তেমন কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না।
- সমস্যা শুরু হয় যখন, এই রোগটি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
শরীরের সমস্ত দূষিত বর্জ্য পদার্থ বের করে তাকে সুস্থ রাখাই যকৃৎ বা Liver-এর কাজ। আর আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির মারাত্মক একটি অসুখের নাম হল Liver Cirrhosis। এই রোগে Liver পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। Liver তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারানোর ফলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়তে থাকে। প্রতি বছর প্রায় হাজার হাজার মানুষ Liver Cirrhosis-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। কিন্তু খুব সহজেই আমরা এই মারাত্মক রোগের হাত থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। সামান্য সতর্কতায় Liver Cirrhosis-এর ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। চিকিৎসকদের মতে, কিছু লক্ষণ রয়েছে, যার সাহায্যে আপনি প্রথম দিকে সিরোসিস শনাক্ত করতে পারেন।
Liver Cirrhosis কী ভাবে হয়?
Liver Cirrhosis-এ সেরে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। মাত্র ২৫ শতাংশ রোগী পাঁচ বছরের বেশি সময় বেঁচে থাকার আশা করতে পারেন। সিরোসিস থেকে যকৃতের ক্যানসারেও রূপ নিতে পারে। তাই রোগ হওয়ার আগে প্রতিরোধ করাই ভালো। হেপাটাইটিস বি ও সি সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ, যেমন শিরায় নেশাদ্রব্য ব্যবহার, অনিরাপদ রক্ত গ্রহণ বা ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন।
Liver Cirrhosis-এর উপসর্গ
হঠাৎ রক্তে লিভার এনজাইমের অস্বাভাবিকতা বা আলট্রাসনোগ্রাফিতে যকৃতের আকার-আকৃতির পরিবর্তনের কারণ খুঁজতে গিয়ে লক্ষণ ধরা পড়ে। সাধারণত খাদ্যে অরুচি, ওজন হ্রাস, বমি ভাব বা বমি, বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত, শরীরে পানি আসা ইত্যাদি হলো মূল উপসর্গ। পরে যকৃতের অকার্যকারিতার সঙ্গে কিডনির অকার্যকারিতা, রক্তবমি, রক্তে আমিষ ও লবণের অসামঞ্জস্য ইত্যাদি জটিলতা। এ ছাড়া যেগুলি রয়েছে-
ত্বক এবং চোখ হলুদ হওয়া
আমরা জানি জন্ডিস হলে ত্বকে ও চোখ হলুদ হয়ে যায়। তবে, Liver Cirrhosis হলে ত্বক এবং চোখ হলুদ পিত্তরসের কারণে শরীরের হলুদ রঙ হয়। যখন লিভার আহত হয়, তখন এটি শরীরে পিত্তের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হয় এবং জন্ডিস হয়।
লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি এড়ানোর উপায়
সালফার সমৃদ্ধ খাবার খান ও ফ্যাট যুক্ত তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। যে খাবারগুলো সহজে হজম হবে এবং হজমশক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকর সেই রকম খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রকলি, সবুজ শাক, বাঁধাকপি এবং ফুলকপি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ এবং রসুন লিভারের ক্ষতিকর টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে।
শরীর চর্চা করা জরুরি
চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত শরীর চর্চা করা ভালো। এতে লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনে মাত্র ২০ মিনিটের শরীরচর্চা লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এবং আমাদের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের মাধ্যমে লিভারের মারাত্মক সমস্যা থেকে দূরে থাকুন।
চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ একেবারেই নয়
প্রেসক্রিপশন বা চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। কিন্তু এই অভ্যাস লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না। বিশেষ করে কোনও ব্যথানাশক (পেইন কিলার) ওষুধ। ব্যথানাশক ওষুধে ব্যবহৃত এনজাইম লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ করে দেয়। সুতরাং চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ খাবেন না।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন
নিয়মিত সঠিক পরিমাণে জল পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। জল আমাদের লিভারের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যারা জল কম পান করেন তাদের লিভারের নানা সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তাই জল বেশি করে খান। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার জল পান করুন।
মদ্যপান নয়
মদ্যপান লিভারকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করে দেওয়ার জন্য দায়ী। সামান্য পরিমান মদ্যপানেও হতে পারে হেপাটাইটিস এবং লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগ।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-08-13 10:13:21
Source link
Leave a Reply