হাইলাইটস
- গাড়ি, বাড়ি, অর্থ, বিদ্যা, বড় ব্যবসা, বিদেশে বড় চাকরি নিয়ে অনেক পুরুষই বড্ড বড়াই করেন৷
- এক কথায় যাকে বলে শো অফ৷
- ভাবে এসব শুনেই মহিলারা তাঁদের চারপাশে ঘুরে বেড়াবেন
এই সবের ফাঁকতালেই নারী চরিত্রকে জটিল বলে বিশেষণ বসিয়ে দিয়ে পুরুষের দল৷ কিন্তু সত্যিই কি কোনও পুরুষ নারীর মনের কথা জানার চেষ্টা করেন৷ বছরের পর বছর একসঙ্গে থেকেও সঙ্গিনীর ভালো লাগাকে গুরুত্ব দেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর উত্তর হয় না৷ কারণ সারা জীবন নারীই পুরুষের পছন্দ অপছন্দের খেয়াল রাখে এটাই তার অলিখিত কর্তব্য৷ পুরুষ শুধু ভোগ করে করে যায়৷ কিন্তু সময় বদলেছে৷ আজকের অনেক শিক্ষিত পুরুষই ঘরে বাইরে সমতায় বিশ্বাসী৷ কিন্তু সমাজের প্রাচীন ধারাকে কাটিয়ে কখনও কখনও সঙ্গিনীকে বুঝতে তাঁদেরও বিপাকে পড়তে হয়৷ তাি তাঁদের উদ্দেশেই কিছু পরামর্শ আগ বাড়িয়ে দেওয়া হল৷
সবজান্তায় অনীহা
অস্ট্রেলিয়ার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা বলছে যে মহিলারা বুদ্ধিমান, বুঝদার এবং খোলা মনের পুরুষ পছন্দ করেন৷ অনেক সময়ই দেখা যায় পুরুষের এই গুনগুলিই দোষে পরিণত হয়৷ মহিলাদের খুশি করার জন্য অনেক পুরুষই নিজেকে বুদ্ধিমান দেখানোর চেষ্টা করেন৷ তাঁরা মনে করে যে তাঁরাই সবকিছু বোঝেন৷ তা রীতিমতো হাস্যকর হয়ে ওঠে৷ আর পুরুষের এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকেই অপছন্দ করেন মহিলারা৷ এই সমস্ত পুরুষ আবার মহিলাদের কম বুদ্ধি রয়েছে এমন প্রমাণ করারও চেষ্টা করেন৷ বলাবাহুল্য তাঁরা নারীদের চক্ষুশ্যূলে পরিণত হন৷ মোটকথা পুরুষের সবজান্তাভাবটা মহিলাদের একেবারেই পছন্দ নয়৷
লোক দেখানো স্বভাব
গাড়ি, বাড়ি, অর্থ, বিদ্যা, বড় ব্যবসা, বিদেশে বড় চাকরি নিয়ে অনেক পুরুষই বড্ড বড়াই করেন৷ এক কথায় যাকে বলে শো অফ৷ ভাবে এসব শুনেই মহিলারা তাঁদের চারপাশে ঘুরে বেড়াবেন৷ পরিচিত বা পছন্দের মহিলাকে দামি উপহার দিয়ে বড়াই করে নিজের প্রতি আকর্ষিত করতে চেষ্টা করেন৷ বা কিন্তু এসব নিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষিত মহিলাই পিছনে হাসাহাসি করেন৷ এবং এধরনের পুরুষকে অপছন্দ করে এবং এড়িয়ে চলেন৷
মেয়েদের পছন্দ বোঝা
এক ধরনের মহিলা যে দামি উপহার টাকা পয়সা পছন্দ করেন তা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ কিন্তু তাঁদের জীবন সঙ্গিনী করার ক্ষেত্রে অনেকেই বাধা পান৷ কিন্তু শিক্ষিত, সংবেদনশীল, ব্যক্তিত্বময়ী মহিলারা দামী উপহার নয় তার চেয়ে বরং পুরুষ সঙ্গীর সাধারণ জ্ঞান, বই পড়ার অভ্যাস, কী ধরনের সিনেমা বা গান শোনা পছন্দ, খাবার খাওয়ার ধরন, অপরিচিত লোকের সঙ্গে ব্যবহার, কথা বলার স্টাইল ইত্যাদি লক্ষ্য করেন৷ এসবের ক্ষেত্রে বরং উনিশ বিশ হলেই পুরুষরা বাতিলের তালিকায় পড়ে যান৷
অহংবোধ
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের অহংবোধ যে সবসময় বেশি হবে সেটাই স্বাভাবিক৷ আগেকার দিনে এসবের মূল্য দেওয়া হত৷ কিন্তু আজকালকার মহিলারা যে পুরুষের থেকে কোনও অংশে কম নন তা সকলেই জানেন৷ তা সত্ত্বেও কোনও মহিলার সামনে অহংবোধ দেখালে হীতে বিপরীত হয়৷ নিজেকে শ্রেষ্ঠ দেখাতে গিয়ে বেশিরভাগ পুরুষই কথা বলতে বলতে তর্ক শুরু করে দেন৷ শুধু মহিলার সঙ্গেই নয় মহিলার আত্মীয়, বন্ধু, পরিচিতদের সঙ্গেও তর্ক জুড়ে দেন অনেকে৷ যেটা মহিলারা একেবারেই পছন্দ করেন না৷
অন্যকে নিচু দেখানোর প্রবণতা
নিজেকে বড় দেখাতে গিয়ে সামনের জনকে ছোটো দেখিয়ে ফেলেন বেশিরভাগ পুরুষ৷ আর তাঁদের এই স্বাভাব একেবারেই অপছন্দ মহিলাদের৷
নিজেকে বড় দেখানোর চেষ্টা
নিজেকে বিজ্ঞ মনে করে অনেকেই যে কোনও সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে শুরু করেন৷ মহিলার পছন্দ অপছন্দের খেয়ালই করেন না৷ তা সে সিনেমা দেখা হোক বা রেস্তোরাঁতে খাবার খাওয়া৷ এরকম ছোটো ছোটো ব্যাপার থেকেই মানুষের স্বভাব বোঝা যায়৷ ফলে এধরনের ব্যবহার দেখলেই সেই পুরুষকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন মহিলারা৷
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-12 20:23:26
Source link
jonny360
Nice post