হাইলাইটস
- মেঘের দেশে নাকি পরীরা থাকে, তারা সব মেঘের পোশাক পরে, মেঘের ভেলা চড়ে, মেঘের বিছানায় ঘুমায়।
- তাদের অতিথি হতে পারলে মেঘের বিছানায় ঘুমিয়ে হাওয়ার ভাসার সুযোগ মেলে।
- ছোটোবেলায় রূপকথা গল্প পড়ে এবং শুনে এসব স্বপ্ন অনেকেই দেখে থাকেন।
পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে বা দীর্ঘ বহুতলের উপর থেকে নীচের দিকে তাকিয়ে মাথা ঘুরে বমি করে ফেলেছে এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি। কিন্তু জানেনকি একদল ডানপিটে মানুষ আকাশের উপর বিছানা পেতে ফেলেছেন, মাটি থেকে যার উচ্চতা ৩০০ ফুট। এখানেই শেষ নয়, হাওয়ায় ভেসে বিন্দাস ঘুমিয়েও নিয়েছেন সেখানে।
ঝুলন্ত বিছানা
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে দুই জন তরুণী হাওয়ায় ভেসে থাকা বিছানায় আরামে শুয়ে আছেন। তাঁদের বিছানাটি অবস্থান করছে মাটি থেকে প্রায় তিনশো ফিট উঁচুতে। আজ্ঞে না কোনও ভিএফএক্স-এর কারসাজি নয়। আসলে চিনের ওয়েংশেং অর্ডোভিশিয়ন থিম পার্কের দৃশ্য এটি। অত্যাশ্চর্য এই পার্কেই রয়েছে প্রায় তিনশো ফিট উপরের ঝুলন্ত বিছানা। বিছানাটি এমনিতে মোলায়েম হলেও সেটি প্রচণ্ড দৃঢ় দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ নিরাপদ সেখানে। ঝুলন্ত বিছানা থেকে পড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই বলেই দাবি পার্ক কর্তৃপক্ষের।
ওড়ার আনন্দ
ঝুলন্ত বিছানায় শুয়ে থাকা আর ওড়ার মধ্যে সামান্যই পার্থক্য রয়েছে। সে যাই হোক, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি শ্যুট করা হয়েছিল ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। পার্কের এক কর্মচারীই ভিডিওটি তুলেছিলেন। তবে হ্যাঁ ওই তরুণী দুজন চিত হয়ে শুয়ে গল্প করছিলেন বলেই শান্তিতে হাওয়ায় ভাসতে পারছিলেন। যদি একবার উঠে নীচের দৃশ্য দেখার চেষ্টা করতেন তাহলে নির্ঘাত তাঁদের মাথা ঘুরে যেত। আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। আবার অনেকের আশঙ্কা মাটি থেকে তিনশো ফিট উপরে বাতাস যথেষ্ট গতিশীল হয় সেক্ষেত্রে হাওয়ার ঝাপটায় বিছানা জোরে দুলে উঠতে পারে। এবং সেখানে যিনি শুয়ে থাকবেন ভয়ে তখন তাঁর দম আটকে যেতে পারে।
চিনের আকর্ষণ
এই থিম পার্কটি এখন চিনের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ। এটি চিনের কিজিয়াং জেলায় অবস্থিত, থিম পার্ক ছাড়াও এই জেলায় রয়েছে প্রচুর অ্যাডভেঞ্চারের অপশন। এখানে রয়েছে একটি হ্যাংগিং গ্লাস ব্রিজ। ঝুলন্ত বিছানার মতো ঝুলন্ত সেতুI এবং সেতুর মেঝেটি তৈরি কাঁচ দিয়েI রয়েছে আরেকটি গ্যাপ ব্রিজও এবং ক্লিফ স্টিং।
তবে শুধু অ্যাডভেঞ্চারের সরঞ্জামই রয়েছে তা নয় এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিতেও দারুণ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছেI সেতুগুলি সব অত্যন্ত দৃঢ় তার এবং দড়ি দিয়ে বাঁধা। ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তিI এমনকি যে সব পর্যটকরা ব্রিজ বেয়ে হেঁটে যাবেন তাঁরাও সেফটি বেল্ট দিয়ে বাঁধা থাকছেন। যাতে ব্রিজের কিছু হলেও পর্যটকের প্রাণ না যায়।
যেখানে পড়ার ভয়
থিম পার্ক কিংবা চিন পর্যটন দফতরের তরফে তো বেজায় নিরাপত্তা অবলম্বন করা হয়েছে। কিন্তু একটা কথা বুকের পাটা না থাকলে লোককে দেখাতে গিয়ে এসব অ্যাডভেঞ্চার ট্রাই না করাই ভালো। কারণ নীচে পড়ার ভয় না থাকলেও নীচের জায়গা দেখে মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয়টা থেকেই যায়। সেক্ষেত্রে কিন্তু কেউ দায়িত্ব নেবে না। কারণ অত উঁচু থেকে নীচের দিকে তাকালে পা এমনিতেই কাঁপতে থাকে। এটি নেহাত দিঘার সমুদ্রে দূরে ঢেউ ধরতে যাওয়ার মতো সাধারণ ঘটনা নয়। হার্টের রোগ থাকলে তো এসব অ্যাডভেঞ্চারের চেষ্টা করাও মারাত্মক। চিনের এই অত্যাশ্চর্য থিম পার্ক সারা বছরই খোলা থাকেI ভবিষ্যতে এটি ডিজনিল্যান্ডকেও টেক্কা দিয়ে দিতে পারে বলে আশা থিম পার্ক কর্তৃপক্ষের।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-12 18:10:01
Source link
Leave a Reply