হাইলাইটস
- শরীর সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি।
- সূর্য রশ্মি এই ভিটামিনের প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য উৎস।
- ভিটামিন ডি ফ্যাটে দ্রবীভূত হতে পারে, যা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য শোষণ ও সংগৃহীত করা হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, মাংসপেশী ও হাড় মজবুত করা, মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখারা পাশাপাশি হার্ট ফেলিওর, মধুমেহ ও ক্যানসারের মতো রোগ থেকেও ব্যক্তিকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। সূর্য রশ্মির সংস্পর্শে এলে শরীর নিজেই ভিটামিন ডি তৈরি করতে শুরু করে। আমাদের শারীরিক মানসিক সুস্থতার জন্য এই ভিটামিন কত জরুরি জেনে নিন।
রোগ দূর করে ভিটামিন ডি
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হলে, তা নানান গভীর রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। ২০০৮-এর একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, হৃদরোগের সম্ভাবনা কম করে ভিটামিন ডি। এ ছাড়াও ২০১০ সালের সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, এই ভিটামিনের প্রভাবে মরশুমী ও নানান ফ্লুয়ের সম্ভাবনাও দূর করা যায়।
ডিপ্রেশন কম করে
সমীক্ষা অনুযায়ী এই ভিটামিন আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করে। গবেষকদের দাবী, ডিপ্রেশনের শিকার ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভিটামিন ডি-র অভাব থাকলে, সেই ব্যক্তির মধ্যে অবসাদ, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ার সমস্যা অধিক দেখা যায়।
ওজন কম করে
ওজন কম করতে চাইলে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী যাঁরা নিয়মিত ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি ওষুধ খান, তাঁদের পক্ষে ওজন কম করা সহজ হয়।
এ ছাড়াও ভিটামিন ডি-এর নানান উপকারিতা রয়েছে। ভিটামিন ডি বলতে সাধারণত যে ভিটামিন আমরা খেয়ে থাকি বা সূর্য রশ্মি থেকে লাভ করি তা হল ভিটামিন ডি৩। ভিটামিন ডি২ শরীর শোষণ করতে পারে না। তবে ডি৩ আমাদের শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। এই ভিটামিনের একাধিক উপকারিতা রয়েছে–
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধের কাজে উন্নতি ঘটিয়ে সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করে
কিছু সমীক্ষা অনুযায়ী ভিটামিন ডি শরীরে ইনসুলিনের স্তরকে সাধারণের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মধুমেহর ঝুঁকি কমে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন ডি৩ টাইপ-২ ডায়বিটিজ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ক্যানসার থেকে রক্ষা করে
ভিটামিন ডি-তে উপস্থিত ক্যান্সার বিরোধী গুণ টিউমার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। আবার কিছু সমীক্ষা অনুযায়ী ভিটামিন ডি ক্যান্সারের গতিকে কমিয়ে দেয়।
কী ভাবে শরীরে ভিটামিন ডি-র স্তর বৃদ্ধি করা যাবে
এই ভিটামিন সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সূর্যরশ্মির মধ্যে। তাই রোজ সকালে সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে আসুন। সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সকাল ৯টার মধ্যে রোদের সংস্পর্শে থাকলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-র জোগান পাওয়া যায়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই বেশি বেলা হলে রোদে না-বেরোনোই ভালো। এ ছাড়াও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন। তবে কিছু কিছু খাবার আছে, যা আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
ফোর্টিফায়েড খাবার
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সময় ভিটামিন ও মিনারেল বেরিয়ে গেলে ফোর্টিফায়েড ফুড সেই অভাব দূর করে। এটি খাদ্যবস্তুর পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে। ভিটামিন ডি-তে সমৃদ্ধ ফোর্টিফায়েড খাবার হল পাউরুটি, সিরিয়াল, দুধ, পনীর, সোয়া মিল্ক ও কমলালেবুর জুস।
মাশরুম
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। সাদা বাটন মাশরুম, ওয়াইল্ড এডিবল ও চ্যান্ট্রেল মাশরুম ভিটামিন ডি-য়ে সমৃদ্ধ। মাশরুম ও কড লিভার তেলে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি থাকে।
দুধ শরীরের পক্ষে জরুরি
এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে। তাই প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ পান করা উচিত। এ ছাড়াও চিজ, দই খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
ডিম ও মাংস
ডিম এবং মাংস ভিটামিন ডি-এর উল্লেখযোগ্য উৎস। এতে প্রোটিনও পাওয়া যায়।
মাছ
মাছকে ভিটামিন ডি-য়ের সবচেয়ে ভালো উৎস মনে কার হয়। এ ক্ষেত্রে সালমনকে ভিটামিন ডি-য়ের উল্লেখযোগ্য উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-08-12 16:41:09
Source link
Leave a Reply