নিজস্ব প্রতিবেদন: ববিতা পান্ডে, বছর তিরিশের গৃহবধু। ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে যখন এসে পৌঁছন তখন রক্তচাপ প্রায় শূণ্য। পালস নেই। তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা। শরীর কাগজের মতো সাদা। চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন হাতে সময় নেই। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জরুরি বিভাগেই মৃত্যু হবে তাঁর। ইমারজেন্সি টিমের প্রধান অশোক মিশ্র’র নেতৃত্বে গোটা ইমারজেন্সি টিম ঝাঁপিয়ে পড়ে গৃহবধূকে বাঁচাতে।
আরও পড়ুন-কবে দেশ ছেড়েছেন Binoy Mishra-র বাবা-মা? অভিবাসন দফতরে জানতে চাইল CBI
রিসাসিটেট করতে করতেই রক্তপরীক্ষা করে এ নেগেটিভ রক্ত জোগাড়ের চেষ্টা চালানো হয়। আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা যায়, এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির ফলেই রক্তপাত হয়েছে ববিতার। বেশ কিছুদিন তাঁর অজান্তেই তলপেটে রক্তপাত হওয়ায় হিমোগ্লোবিন ৪-এর নীচে নেমে গিয়েছে। অশোক মিশ্র বলেন, “জরুরি বিভাগে আমাদের হাতে সময় খুব কম ছিল। প্রতি মুহুর্তের দেরি ওই মহিলাকে মৃত্যুর দিকে আরও ঠেলে দিত।”
একঘণ্টার মধ্যে ববিতাকে কিছুটা স্থিতিশীল করেই ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয় পেটে জমে থাকা রক্ত বের করার জন্য। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ এবং ববিতার চিকিৎসক তিস্তা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওঁর বেশ কয়েক মাস ধরে পিরিয়ড মিস হওয়া, দেরিতে পিরিয়ড হওয়ার সমস্যা হচ্ছিল। সেটাকে উনি আমল দেননি। আর বুঝতেই পারেননি যে সন্তানধারণ করেছেন তিনি।”
কেন হঠাৎ এমন অবস্থা হয়ে গেল ববিতার? “এক্টোপিক প্রেগন্যান্সিতে ইউটেরাসের বাইরে ভ্রুণ অবস্থান করে। কিন্তু সেখানে ভ্রুণ বাঁচতে পারে না। ফলে রক্তপাত শুরু হয়। এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি দ্রুত চিহ্নিত করে অস্ত্রোপচার করে রক্তপাত বন্ধ না করলে গর্ভবতীর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। উনিও সেই জন্যই মৃত্যুর মুখে চলে গিয়েছিলেন,” তবে এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ববিতা। বলেন তিস্তা।
আরও পড়ুন-টার্গেট Tripura, সংগঠনে জোর তৃণমূলের, শীঘ্রই রাজ্য কমিটি ঘোষণার সম্ভাবনা
বুধবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার আগে ববিতা বলেন, “মনে হচ্ছিল প্রাণটাই বেরিয়ে যাবে। বাড়িতে সাত বছরের ছেলেটার মুখটা ভেসে উঠছিল বারবার। মনে হচ্ছিল ওর কী হবে। এখানকার চিকিৎসকেরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাদের বাঁচিয়েছেন, তাতে বলার ভাষা নেই। ওদের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকব।”
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
Zee24Ghanta: Health News
2021-08-12 16:17:07
Source link
Leave a Reply