হাইলাইটস
- ভারতীয়দের পছন্দের খাবারে চিনি ও গুড়ের ব্যবহার অনস্বীকার্য।
- তবে চিনি অনেক বেশি কৃত্রিম উপায়ে রিফাইন্ড করে আজকাল বিক্রি হয়।
- যার জেরে অনেক সময়ই চিনির খাদ্যগুণ আর তাতে বজায় থাকে না।
- শুধুই মিষ্টত্ব থেকে যায়। তবে গুড় অনেক বেশি অকৃত্রিম।
- একে আয়ুর্বেদিক নানা ওষুধ তৈরির কাজেও ব্যবহার করা হয়।
তবে, গুড়ের গুণগত মান-সহ অন্যান্য অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে গুড় আসলে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে। তা আপনার অবশ্যই জানা দরকার। অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতেও গুড় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটা বলা হয় যে, যে কোনও কিছু বেশি খারাপ। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনিও প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গুড় খান, তাহলে এটি আপনাকে অনেক সমস্যায় ফেলতে পারে। গুড়ের ক্ষতিকর দিকগুলি কী কী জানুন-
অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে
প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে আছে ৩৮৫ ক্যালরি, তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছেন গুড় তাঁদের জন্য উপকারী নয়। সামান্য পরিমাণে খেলে সমস্যা হবে না। তবে অতিরিক্ত খেলে তা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। গুড়ে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি।
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে
চিনির তুলনায় স্বাস্থ্যকর হলেও গুড় যেহেতু মিষ্টি, তাই এটি অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াবেই। প্রতি ১০ গ্রাম গুড়ে থাকে ৯.৭ গ্রাম চিনি।
জীবাণু সংক্রমণ বাড়তে পারে
গুড় তৈরির পদ্ধতিতে ভুল হলে কিংবা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা না হলে সেই গুড় থেকে অন্ত্রে বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। গুড় সাধারণত তৈরি হয় গ্রামে যেখানে সিংগভাগ সময়েই স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বজায় রাখা হয় না। তবে এই জীবাণু সংক্রমণ থেকে স্বাস্থ্যহানি কিংবা শারীরিক জটিলতা হতেও পারে, আবার নাও পারে।
হজমের সমস্যা
সদ্য তৈরি গুড় খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। আবার এই গুড় থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
নাক থেকে রক্তক্ষরণ
প্রচণ্ড গরমের দিনে গুড় খেলে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তাই গ্রীষ্মকালে গুড় না খাওয়াই নিরাপদ।
রোগের তীব্রতা বাড়াতে পারে
গুড় প্রক্রিয়াজাত নয় এবং এতে প্রচুর পরিমাণে সুক্রোজ থাকে। তাই যাদের বাত বা প্রদাহভিত্তিক রোগ আছে তাদের গুড় বাদ দেওয়া কিংবা একেবারে সামান্য পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ গবেষণায় দেখা দেছে, সুক্রোজ ওমেগা থ্র’ ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
মাছ আর গুড়
আয়ূর্বেদিক চিকিত্সা শাস্ত্র মতে, গুড় আর মাছ কোনো অবস্থাতেই একসঙ্গে খাওয়া চলবে না। আবার যার ‘আলসারেটিভ কোলাইটিস’ অর্থাত্ পরিপাকতন্ত্রে আলসারের সমস্যা আছে তার জন্য গুড় খাওয়া একদমই উচিত নয়।
মনে রাখবেন, গুড়ের ভেতরে রাসায়নিক পদার্থ খুব সহজে মিশে যায় যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে। অতএব, শুধুমাত্র ভাল মানের গুড় কিনুন এবং সঠিক পরিমাণে সেবন করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-11 10:42:00
Source link
Leave a Reply