হাইলাইটস
- ছিপছিপে মেদহীন চেহারা পেতে কার না ভালো লাগে?
- কিন্তু সব সময় আমাদের সবার পক্ষে মডেলদের মতো চেহারা পাওয়া সম্ভব হয় কি?
- যারা নিজেদের মোটাসোটা চেহারা নিয়েই খুশি, তাঁদের কথা আলাদা। কিন্তু যাঁরা সমানে চেষ্টা করে চলেছেন রোগা হওয়ার, কিন্তু তাও পারছেন না! তাঁদের সমস্যা সত্যিই গুরুতর।
এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ডায়েট কনট্রোল করেছেন, নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করছেন রোগা হওয়ার জন্য। দেখা গিয়েছে যে আমাদের গোটা শরীরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন পেটের মেদ ঝরানো। হাজার চেষ্টা করেও পেটের মেদ ঝরাতে হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। জেনে নিন কেন আপনি কোন ভুলগুলো করছেন, যার জন্য পেটের মেদ কিছুতেই কমছে না।
আমরা অনেক সময় নির্মেদ চেহারা পাওয়ার ঝোঁকে খাদ্যতালিকা একেবারে কাটছাঁট করে ফেলি। এতে আমাদের শরীর ঠিকমতো পুষ্টি পায় না। পেটের মেদ কমানোর জন্য ক্যালরি ইনটেক কমাতে হবে, কিন্তু পুষ্টিতে ঘাটতি হলে চলবে না। তাই ডায়েট থেকে মাইক্রো এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট বাদ দিলে চলবে না। এতে ওজন হয়তো কমবে কিন্তু শরীরে ফ্যাটের বদলে মাসল হারাবো আমরা। তার ফলে ভুঁড়ি কমানো মুশকিল হবে।
মদ্যপান করা
পেটের মেদ না কমার অন্যতম একটি কারণ। মদ্যপান বিপাকে সমস্যা করে। এতে পেটের মেদ ঝরতে অসুবিধা হয়।
ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা
বেশি খেলে পেটের মেদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন ক্র্যাকার্স, পাউরুটি, চিপস, পরিশোধিত চিনি ইত্যাদি ওজন বাড়ায়।
শরীর অনুপাতে কতটা ব্যায়ামের প্রয়োজন
ওজন কমানোর জন্য আপনি হয়তো ব্যায়াম করছেন। কিন্তু ঠিক যতটুকু ব্যায়াম আপনার নিয়মিত করা প্রয়োজন সেটি করছেন না। এটিও পেটের মেদ না কমার কারণ হতে পারে। তাই ফিটনেস প্রশিক্ষকের কাছে জেনে নিন কতটুকু ব্যায়াম করা আপনার প্রয়োজন। ওজন কমাতে ব্যায়াম করার কোনও বিকল্প নেই। ঘাম ঝরাতে পারলে বেশ কিছুটা ক্যালরি বার্ন করানো যায়। কিন্তু ভুল ভাবে ওয়ার্ক আউট করে আখেরে কোনও লাভ হয় না। কারণ পেটের মেদ কমানো খুব মুশকিল। একই ধরনের ব্যায়াম দিনের পর দিন করে গেলে প্রথম দিকে কিছুটা ওজন কমলেও ভুঁড়ি কমানো মুশকিল। তার জন্য নানা ধরনের ব্যায়াম ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করতে হবে।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ থাকলে পেটের মেদ সহজে কমে না। তাই মানসিক চাপে থাকলে সেটি কমানোর উপায় বের করুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে মনে উদ্বেগ ও হতাশা থাকলে শরীরে করটিসোল হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। ফলে ক্যালোরি বার্ন কম হয় এবং পেটে মেদ জমতে থাকে।
ঘুম কম
গবেষণায় বলা হয় যাঁরা পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের পেটের মেদ সহজে কমে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দৈনিক অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম জরুরি।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-08 15:00:12
Source link
Leave a Reply