হাইলাইটস
- হিন্দু বিয়েতে এখনও বেশ কিছু জায়গায় পণপ্রথার প্রচলন রয়েছে।
- এখনও অনেকে ভাবেন মেয়েকে বাবা-মা সাধ্যমতো গুছিয়ে দেবেন
শুধু তাই নয়, কোনও মেয়ে যদি একটু মোটা হন বা কালো হন বাড়ির লোক তখন আপ্রাণ চেষ্টা করেন কী ভাবে মেয়েতে ত্বন্বী করে পাত্রপক্ষের কাছে উপস্থিত করবেন। সেই সঙ্গে রান্না জানা, ঘর গোছানো মোট কথায় গৃহকজ্ঞমে নিপুনা হতে হবে। সে যতই তোমার বড় বড় ডিগ্রি থাক না কেন। যতই তুমি ভালো চাকরি করো না কেন। বাড়ির বউ মানেই তার উপর অজান্তেই আরোপ হয়ে যায় একগুচ্ছ বিধি নিষেধ। বিয়ের আগে হবু শ্বশুরবাড়ি তার কতটা উপযুক্ত, তার মনের মতো থাকার জায়গা আছে কিনা এসব দেখার মতো সুযোগ খুব কম মেয়েই পেয়ে থাকে। এমন বিয়ের গল্প তো সকলেরই চেনা। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ইন্দোনেশিয়ার বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের কথা।
প্রাথমিক পর্যায়ে ছেলের বাড়ির লোকেরা মেয়ের বাড়িতে আসে বেশ কিছু উপহার নিয়ে। দুই পরিবারের মধ্যে আলাপচারিতা, আত্মীয়তা জমে ওঠে। ছেলের বাড়ির লোকেরা মেয়ের হাত ধরে জানতে চায় বিয়ে নিয়ে সে কী ভাবছে, আদৌ এই বিয়েতে তার মত আছে কিনা।
মেয়ে যদি সম্মতি দেয় এবং দুই বাড়ির মধ্যে কথাবার্তা ফাইনাল হয় তখন মেয়ের মাথা থেকে সামান্য চুল কেটে নিয়ে যায় ছেলের বাড়ির লোকেরা। এই চুল কাটা হয় কাঁচি এবং কয়েনের সাহায্যে। এরপরই বিবাহের আয়োজন শুরু হয়।
বিয়ের আগের রাতটা কনে বান্ধবীদের সঙ্গে কাটায়। সেদিন সারাদিন রূপচর্চার পর রাতে হয় মেহেন্দির অনুষ্ঠান। এদিন সকালে ছেলে আর মেয়ে দুজনকেই জলে সুপুরি দিয়ে স্নান করানো হয়। ৯ রকম পাথর আর সাদা ফুল দিয়ে স্নানের জায়গা সাজানো হয়।
বিয়ের দিন কনের বড় দিদি ও বাকি বোন বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ের আসরে আসে মেয়েরা। এবার সেই দিদি বড়দের থেকে নব দম্পতির জন্য আর্শীবাদ নেন। এরপর মেয়ে ও ছেলের বাবা-মায়ের থেকে অনুমতি নেন তিনি। তারপর শুরু হয় বিয়ের আচার অনুষ্ঠান।
বিয়ের দিন বর-কনে দুজনে পাশাপাশি বসে। তাদের চারপাশে বেশ কয়েকটি বালিশ আর ৭টি রঙের কাপড় রাখা থাকে। উপস্থিত অতিথিরা বিয়ের শেষে নবদম্পতির হাতে লাল কাপড়ের টুকরো বেঁধে দেন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-04 00:12:58
Source link
Leave a Reply