ফর্সা হতে কে না চায়। তাই তো হাজার হাজার টাকা খরচ করতেও অনেকে পিছপা হন না। আবার কেউ কেউ সকাল-বিকাল ফেস হোয়াইটিং ক্রিম লাগিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান। এই সব ক্রিম লাগালে কি আদৌ কাজ হয়? উত্তর হল, একেবারেই না। কারণ বাজার চলতি এই সব বিউটি প্রোডাক্টগুলিতে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে কেমিকাল থাকে, যা ত্বকের রং তো বদলাতে পারেই না, উলটে স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি করে দেয়। প্রসঙ্গত, ত্বকের রং অনেকাংশেই নির্ভর করে জিনের উপরে। আপনার পরিবারে যদি সবাই খুব ফর্সা হন, তবে আপনার স্কিনের কালারও উজ্জ্বল হবে।
সেই সঙ্গে আরও কিছু বিষয় আছে, যার উপর নির্ভর করে আপনার ত্বকের চিরত্র। তাই তো চিকিৎসকেরা ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করে ত্বকের রং ফেরনোর বিপক্ষে সব সময় মতামত দিয়ে এসেছেন। এই সব ক্রিমগুলি ত্বকের কোনও উপকারে লাগে না। বরং নানা ভাবে ত্বকের ক্ষতি করে থাকে। সেই কারণেই তো প্রকৃতিক উপাদান ব্য়বহার করে ফর্সা হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এই প্রবন্ধে আলোচিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করলে হলফ করে বলতে পারি অল্প দিনেই আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করবে। তাহলে অপেক্ষা কিসের। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফর্সা হওয়ার এইসব সহজ, থুরি কার্যকরি পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে।
দুধ, লেবুর রস এবং মধু: ত্বককে উজ্জ্বল করেতে এই সবকটি উপাদানই দারুন কাজে আসে। ১ চামচ করে সবকটি উপকরণ মিশিয়ে নিন প্রথমে। তারপর সারা মুখে এই পেস্টটা লাগিয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন এই পেস্টটি ব্যবহার করলে অল্প দিনেই ত্বকের রং উজ্জ্বল হতে শুরু করবে।
ওটস এবং দই: ত্বককে ফর্সা বানাতে এই মিশ্রনটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি পিগমেন্টটেশন কমায়। ফলে স্কিন উজ্জ্বল হতে শুরু করে। পরিমাণ মতো ওটস নিয়ে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওটসগুলি বেটে নিয়ে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটা পেস্ট। প্রতিদিন এই পেস্টটি মুখে লাগালে দারুন ফল পাবেন।
আলু: এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ব্লিচিং এজেন্ট, যা খুব কম সময়ে ত্বককে ফর্সা এবং উজ্জ্বল করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একটা আলু নিয়ে তার রসটা সংগ্রহ করে নিন। তারপর সারা মুখে সেটা লাগিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন যদি এমনটা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন নিমেষে আপনার ত্বকের চরিত্র বদলে যেতে শুরু করেছে।
কলা এবং বাদাম তেল: পরিমাণ মতো কলা নিয়ে চোটকে নিন। তারপর তাতে ১ চামচ বাদাম তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন দুটি উপকরণ। প্রসঙ্গত, কলাটা ততক্ষণ পর্যন্ত চটকাবেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত পেস্ট হয়ে যাচ্ছে। কলা এবং বাদাম তেল দিয়ে বানানো ফেস প্যাকটি মুখে লাগানোর পর কম করে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ এবং ময়দা: ১ চামচ ময়দা এবং ১ চামচ হলুদের সঙ্গে দুধ অথবা জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। প্রতিদিন দিনের শেষে এই পেস্টটা মুখে লাগিয়ে মাসাজ করেন, এমনটা করলে দেখবেন ত্বকের রং ফিরে আসতে শুরু করছে।
পেঁপে এবং মধু: পেঁপের মধ্যে এমন কিছু এনজাইম আছে, যা ত্বকের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ক্ষতগুলিকে সারিয়ে তুলে ভিতর থেকে স্কিনকে সুন্দর করে তোলে। সেই সঙ্গে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও ত্বককে বাঁচাতে এই ফলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ত্বক ট্যান হওয়ার সুযোগই পায় না। হাফ কাপ থেঁতো করা পেঁপের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রনটি মুখে লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে জল দিয়ে মুখটা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
টমাটো এবং দইয়ের পেস্ট: পরিমাণ মতো তাজা টমাটো নিয়ে চটকে নিন। তারপর তার সঙ্গে দই মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, টমাটো এবং দই, দুটিতেই প্রচুর মাত্রায় ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে ফর্সা বানাতে দারুন কাজে আসে। দুদিন অন্তর অন্তর এই ফেস প্যাকটা মুখে লাগালে দেখবেন কেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠবে আপনার ত্বক।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-31 21:05:33
Source link
Leave a Reply