এখন তরুণেরা তাঁদের প্রয়োজনের সঙ্গে মিলিয়ে নিচ্ছেন ফ্যাশনকে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ব্যাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে। ব্যাগ সব সময়ই দরকারি এক অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সঙ্গে থাকা বই, খাতাসহ অনেক টুকিটাকি জিনিস একটি ব্যাগে রাখা যায়, আর সেই ব্যাগটি হবে ষোলোআনা কাজের এবং ফ্যাশনেবল, এমন ব্যাগই সব সময় বেছে নিয়েছেন তরুণেরা। কিছু দিন আগেও মোটা ফিতায় এককাঁধে ঝোলানো ব্যাগের ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি। আর এখন ব্যাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাকপ্যাক বা পিঠে ঝোলানো ব্যাগই সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে বর্তমান তরুণদের মধ্যে। এটিই এখন চলছে সবচেয়ে বেশি।
ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করছেন ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জিহান। তিনি জানান, ব্যাগে বই-খাতা তো থাকেই, পাশাপাশি ল্যাপটপও নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে এসব ব্যাগই সবচেয়ে বেশি উপযোগী। আর দুই কাঁধে ব্যাগের ফিতা থাকে বলে এটির একটি ভারসাম্যও থাকে, তাই অনেক ওজন থাকার পরও ব্যাগটি কাঁধে নিতে কষ্ট হয় না। কাজ ও ফ্যাশন দুটোই হলো। পলেস্টার ও নাইলনের তৈরি এ ব্যাগগুলো এখন বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ননব্র্যান্ডের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। এসব ব্যাগের প্রতিটি খাপে বিশেষ ধরনের প্যাড কুশন ও ফোম রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কটি আলাদা পকেট থাকায় একসঙ্গে বিভিন্ন জিনিস নেওয়া যায়। ব্যাগ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্রেট ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শামীম কবির জানান, ব্যাকপ্যাক এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। দুই কাঁধে নেওয়া এ ব্যাগগুলো দারুণ ফ্যাশনেবল আর সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় এর ব্যবহার বেড়েছে কয়েকগুণ। ব্যাকপ্যাকগুলোয় মোটা ফিতা থাকায় কাঁধে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। সারা দিন চলাফেরায়ও যথেষ্ট আরামদায়ক। এমনই মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান হোসেনের।
ব্যাকপ্যাক ব্যবহারে দেখা যাচ্ছে রঙের বৈচিত্র্য। ব্যবহারের ক্ষেত্রে কালো, মেরুন বা কয়েক রঙের মিশেল ব্যাগগুলোই বেশি বেছে নিচ্ছেন তরুণেরা। এ ছাড়া অনেক পকেট আছে এমন ব্যাগের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানান নিউমার্কেটের ব্যাগ ব্যবসায়ী ফয়সাল খান। কম্পিউটার সোর্সের পরিচালক বিপণন মুহিবুল হাসান জানান, জনপ্রিয়তার কথা ভেবে আমরাও ব্যাকপ্যাক আমদানি করেছি। ব্যাকপ্যাকগুলোয় ল্যাপটপের পাশাপাশি অন্যান্য জিনিসও বহন করা যায় সহজে। আর এ ব্যাগগুলো ভ্রমণেরও দারুণ সঙ্গী হতে পারে।
বিভিন ব্র্যান্ডের ব্যাকপ্যাক পাওয়া যায়। কম্পিউটার সোর্সে পাওয়া যাবে টারগাস ব্র্যান্ডের ব্যাগ। এ ছাড়া বাটা প্রেসিডেন্ট, পোলো প্রভৃতি ব্র্যান্ডের ব্যাকপ্যাক পাওয়া যাবে। ব্র্যান্ড ভেদে এসব ব্যাগের দাম পড়বে দেড় হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার পিয়েরে কার্ডিন, অর্নেট ব্র্যান্ডের ব্যাকপ্যাকের দাম পড়বে আরও বেশি। ননব্র্র্যান্ডের এ ব্যাগগুলো পাওয়া যাবে ৭০০ থেকে দেড় হাজার টাকায়। ঢাকার নিউমার্কেট, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, চকবাজার, বসুন্ধরা সিটি, শাহবাগসহ বিভিন্ন শপিং মলে এসব ব্যাগ মিলবে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৩, ২০১০
Leave a Reply