নারীদেহে অবাঞ্ছিত লোম কিছুতেই কাম্য নয়। কারণ এতে নারীর দৈহিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং এটি এক অসহ্য যন্ত্রণার বিষয় হয়ে ওঠে।
হারসুটিজমঃ মেয়েদের মুখে, বুকে ও নাভীতে অবাঞ্ছিত লোম সৃষ্টির ডাক্তারি নাম হলো হারসুটিজম। রোগটির আরো কিছু লক্ষণ হলো মাসিকচক্রে অনিয়ম, স্তনদ্বয় ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে যাওয়া, গলার স্বর ভারী হওয়া এবং পুরুষসঙ্গীর প্রতি ক্রমান্বয়ে আকর্ষণ কমে যাওয়া। কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে বন্ধ্যা হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।
বিস্ময়কর কসমেটিক সার্জারিঃ এক্ষেত্রে বিস্ময়কর এক কসমেটিক সার্জারির নাম লেজার। নিজস্ব আলোকরশ্মির মাধ্যমে এটি নারীদেহের অবাঞ্ছিত লোমগুলো ত্বকের কোনো ক্ষতি না করে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দুর করে দেয়। এজন্য প্রয়োজন ১ থেকে ৪ সেশন চিকিৎসা।
ল্যাব-পরীক্ষাঃ সঠিক কারণগুলো শনাক্ত করে লেজার সার্জারির সঙ্গে মুখে খাবার ওষুধ দিয়ে রোগটি স্হায়ীভাবে নিরাময় করা সম্ভব। কারণগুলো শনাক্তকরণের জন্য বিশেষ বিশেষ পরীক্ষাগুলো হলোঃ
* রক্তের সুগার, ভিডিআরএল, টিপিএইচএ এবং এইচবিএসএজি পরীক্ষা
* রক্তের হরমোন এনালাইসিস
* আল্ট্রাসনোগ্রাম অফ হেপাটো-বিলিয়ারি সিষ্টেম
উপসংহারঃ রোগটি সারাতে লেজার হচ্ছে প্রায় শতভাগ সফল। তাই একজন দক্ষ ত্বক বিশেষজ্ঞ ও কসমেটিক সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে।
লেখকঃ ডা. এ কে এম মাহমুদুল হক (খায়ের)
ত্বক, যৌন ও এলার্জি বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটিক সার্জন, কনসালট্যান্ট, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
দৈনিক আমারদেশ, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৭
Leave a Reply