প্রতিটি বাঙালি রমণী মাত্রই কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। কিন্তু সময় ও সামর্থ্যর অভাবে অনেক সময়ই তা হয়ে উঠে না। সময়ের চেয়ে সামর্থ্যর অভাবটাই যেন বড় বেশী প্রকট হয়ে দেখা দেয়। বর্তমান যুগে অফিস থেকে ফেরার সময় গলির মোড়ে নতুন বুটিকসের দোকানে স্বচ্ছ গ্লাসের ভেতরের গাঢ় বেগুনি রংয়ের জামাটি যেন পিয়াকে বড় বেশি কাছে টানে। কিন্তু পরক্ষণেই দামটি দেখে আতকে উঠে সংসার খরচের কথা ভেবে। পিয়ার মতো এমন অনেকেই আছেন যারা বুটিকসের দোকান দেখে শুধুই দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলেন শুধুমাত্র দামের কথা ভেবে। এত কিছুর পরে যদি ওরা দোকানে গিয়ে আপনার সখের জিনিসটি নিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখছেন অমনি পাশের জন এসে আপনার হাত থেকে তা ছোঁ মেরে নিয়ে নিজের জন্য দোকানীকে বলল প্যাকেট করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে এটা মোটেই কোন ভদ্রতার লক্ষণ নয়। তাই কেউ কোন জিনিস হাত থেকে রেখে দিলেই কেবল মাত্র আপনি তা দোকানীর কাছে দামাদামির জন্য চেষ্টা করবেন। একটা জিনিস দেখতে গিয়ে অনেকগুলো জিনিস নামাবেন না। অথবা কেনার ইচ্ছা না থাকলে অথবা দরাদরি করবেন না। কিংবা দামের উচ্চমূল্যের জন্য দোকানীর সাথে অযথা তর্কবিতর্ক করবেন না। দোকানে ভীড় থাকলে একটু অপেক্ষা করে কেবল মাত্র ভীড় কমলেই আপনার জিনিসটি বেছে নিন। অথবা আপনার জিনিসটি যদি খুঁজে পেতে সমস্যা হয়, তাহলে দোকানের সেলসম্যানকে বলুন আপনাকে সাহায্য করার জন্য। অনেক সময় অনেকেই কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রথমেই দোকানীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন এটা ভুলেও করবেন না। এতে আপনার ঠকে যাবার সম্ভাবনাই বেশী। কোন কিছু কেনার আগে ভালভাবে দেখে-শুনে কেনার চেষ্টা করুন যেন তার আর ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন না হয়, কারণ ফেরত দিয়ে আবার আনার ক্ষেত্রে আপনি হয়তো আপনার কাঙিক্ষত জিনিসটি নাও পেতে পারেন। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে শপিং করতে গেলে অযথা ভীড় করিয়ে অন্য ক্রেতাকে হয়রানি করবেন না। ডিসপ্লে সেকশন থেকে কোন কিছু দেখার জন্য নিলে সেটা আবার যথাস্থানে রেখে দেওয়ার চেস্টা করবেন। অনেকে কেনাকাটায় এতো বেশি ব্যস্ত থাকেন যে নিজের হাত ব্যাগের নিরাপত্তার কথা ভুলেই যান, এটা কখনই করবেন না। সাথে অন্যান্য যে সব ব্যাগ আছে অন্য জিনিস দেখতে গিয়ে সে গুলো যেন মিসিং না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখবেন।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, মার্চ ১৬, ২০১০
Leave a Reply