সাধারণত টিনএজারদের মধ্যে ব্রণের সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। তবে পূর্ণ বয়স্কদের মধ্যেও এই সমস্যা হতে দেখা যায়। যদিও বয়ঃসন্ধিকাল পার হওয়ার সাথে সাথে হরমোন স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে এবং ব্রণের সমস্যা কমতে থাকে। ব্রণ নিরাময়ে নারিকেল তেল অত্যন্ত কার্যকরী। আপনি হয়তো এটা শুনে অবাক হচ্ছেন। সাধারণত ব্রণের সমস্যা আছে এমন মানুষদের তেল ও তৈলাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বেশীরভাগ বিশেষজ্ঞ! তবে ব্রণ নিরাময়ে নারকেল তেল ব্যবহারের পরামর্শ দেয়ার যথেষ্ট কারণ আছে, সেই কারণগুলো এবং ব্যবহারের উপায় জেনে নিব এই ফিচারে।
১। ফ্যাটি এসিড
নারিকেল তেলে দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট ক্যাপ্রিক এসিড ও লরিক এসিড আছে। এই দুটি এসিড ব্রেস্ট মিল্কেও পাওয়া যায় যা নবজাতক শিশুকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। এগুলো যখন ত্বকে প্রয়োগ করা হয় তখন ত্বকে উপস্থিত ভালো জীবাণু এই এসিডগুলোকে মনোসেপ্রিন এবং মনোলরিন এ রূপান্তরিত করে। এগুলো ত্বকের সুরক্ষা দানকারী এসিড স্তরকে প্রতিস্থাপন করে যা হতাশ টিনএজাররা ঘন ঘন ধোয়ার মাধ্যমে নষ্ট করে থাকে। বাহ্যিক ব্যবহারের পাশাপাশি নারিকেল তেল গ্রহণ করাও একই রকম সুরক্ষা দিতে পারে। তবে সাধারণত সরাসরি ব্যবহার করার পরামর্শই দেয়া হয়।
২। ভিটামিন ই
নারিকেল তেল ভিটামিন ই এর সমৃদ্ধ উৎস। এটি ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে এবং সিবাম গ্ল্যান্ডকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে ও ব্লকেজ পরিষ্কার করে। অর্থাৎ এটি ব্রণ হওয়ার মূল কারণ দূর করে। ভিটামিন ই এক ধরণের হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান, যা হরমোনের উঠানামার ফলে সিবাম গ্ল্যান্ডের অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে উঠাকে কমাতে পারে।
৩। অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান
নারিকেল তেল ত্বককে শিথিল হতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ভেতরে পৌঁছে যায়। যখন এটি ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে ব্যবহার করা হয় তখন খুব দ্রুত ত্বক দ্বারা শোষিত হয় এবং প্রদাহ কমতে সাহায্য করে। ব্রণের তীব্রতা বেশি হলে ত্বকে উন্মুক্ত ক্ষত হতে পারে, এই ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে নারকেল তেল।
এছাড়াও নারিকেল তেল বিপাকের হারের উন্নতি ঘটায় বলে হরমোনের নিঃসরণ ও ভারসাম্যের উপর পরোক্ষ প্রভাব ফেলে। এভাবেই ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। ভালো ফলাফল পেতে ২-৫ চামচ নারিকেল তেল প্রতিদিন গ্রহণ করুন। বিশুদ্ধ নারকেল তেল বিশেষ করে ভার্জিন কোকোনাট ওয়েল ব্যবহার করাই ভালো।
যেভাবে ব্যবহার করবেন :
সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায় হচ্ছে ব্রণের উপর সরাসরি নারিকেল তেল লাগানো। নারিকেল তেল সামান্য গরম করে নিয়ে আঙ্গুলের সাহায্যে মুখের ব্রণের উপর বৃত্তাকারে আলতোভাবে লাগান। দিনে দুইবার এভাবে লাগালে ১ সপ্তাহের মধ্যেই ভালো ফল দেখতে পাবেন।
আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে সকালে মুখ ধোয়ার ফেস ওয়াশের সাথে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। আপনার কসমেটিক পণ্যগুলোর সাথেও কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে নারকেল তেলের উপকারী উপাদান কসমেটিকের সাথে মিশে প্রতিকার হিসেবে কাজ করবে।
৫ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ২ টেবিল চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-26 10:57:35
Source link
Leave a Reply