হাইলাইটস
- প্রায় সকলেই Bloating বা পেট ফোলার সমস্যার শিকার হয়ে থাকেন।
- অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, এক্সারসাইজের অভাবের কারণে ইদানীং এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
- পাচন প্রক্রিয়ায় গণ্ডগোলের সঙ্গে Bloating-এর সমস্যার যোগসূত্র রয়েছে।
Bloating-এর কারণ
পিরিয়ডসের সময় শারীরিক পরিবর্তনের কারণে পেট ফুলতে পারে। ভুল জীবনযাপন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বাসি খাবার-দাবার, কোষ্ঠকাঠিন্য, বেশিক্ষণ পর্যন্ত কিছু না-খেয়ে থাকা বা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় বসে থাকার কারণে ব্লটিংয়ের সমস্যা হতে পারে। খাবার সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে জল পান পেট ফোলার সবচেয়ে বড় কারণ। এর ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়, যা ব্লটিংয়ের জন্য দায়ী। তাই খাবার খাওয়ার সময় বা খাবার শেষের সঙ্গে সঙ্গে জল পান করবেন না।
Bloating বা পেট ফোলার লক্ষণ
এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল পেট ফোলা ও পেট ভার থাকা। ব্যাকুলতা, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, ওজন কমা, ক্লান্তি, তীব্র মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, বার বার গ্যাস হওয়া, গ্যাস বেরোলে দুর্গন্ধ, টক ঢেকুর, বমি বমি ভাব, কম ক্ষিদে পাওয়া, লাগাতার হিচকি, পেটে মোচড় ও মাঝে মধ্যে জ্বর আসা ব্লটিংয়ের লক্ষণ।
Bloating-এর সমস্যা দেখা দিয়ে যে খাদ্যবস্তু থেকে দূরে থাকবেন
১. ফ্যাটি ফুড
তেলেভাজা, ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে পেটে ব্যথা, গ্যাস, বদহজমের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই ব্লটিংয়ের সমস্যা হলে এই জিনিসগুলি খাবেন না। ফ্যাট যুক্ত খাবার-দাবারের ফলে বুক জ্বালা করার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
২. বিনস
স্বাস্থ্যকর বিনসও Bloating-এর জন্য দায়ী হতে পারে। বিনসে অধিক পরিমাণে শর্করা ও অলিগোসেকেরাইড থাকে, যা শরীর হজম করতে পারে না। পাকতন্ত্র এই উপাদানগুলিকে হজম করার চেষ্টা করলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়।
৩. নোনতা জিনিস খাওয়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন
অধিক নোনতা কিছু খেলে শরীর থেকে তরল পাদার্থ নির্গত হতে পারে না। এর ফলে পেট ফোলার সমস্যা দেখা দেয়। তাই ক্ষিদে পেলেই চিপস বা নোনতা খাবার খাওয়ার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর কিছু খান, এর ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরে থাকে।
৪. গম দিয়ে তৈরি খাবার-দাবার
অনেকেই গম-জাত খাদ্যবস্তু খেতে পারেন না। গম জাতীয় কিছু খেলেই পেট ফোলার সমস্যা দেখা দেয়। এটি সিলিয়েক নামক এক রোগের লক্ষণ হতে পারে। পাউরুটি, অন্ন, বিস্কুট, পাস্তার মতো খাদ্যবস্তু খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিলে গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট মেনে চলুন। এখন বাজারে নানান ধরনের গ্লুটেন ফ্রি খাদ্যবস্তু পাওয়া যায়।
৫. কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস
অনেকের ধারণা কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস পান করলে পেট ফোলার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু আসলে এর উল্টোটি ঘটে। এই পানীয়ে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই তা পান করলে অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শরীরে প্রবেশ করে। এর ফলে পাকতন্ত্র ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। তাই কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কসের কারণে পেট ফোলা, মোচড় দেওয়ার সমস্যা বেড়ে যায়।
পেট ফোলার সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়
১. নিয়মিত ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। এর ফলে পাকতন্ত্র ভালো ভাবে কাজ করবে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে না।
২. তেলেভাজা ও মশলাদার খাবার খাবেন না। এ ছাড়া কোন খাবার খেলে সমস্যা বাড়ছে, তা লক্ষ্য রাখুন। সেই সমস্ত খাবার থেকেও দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো।
৩. জাঙ্ক ফুড খাবেন না।
৪. মদ, ধূমপান ও তামাক সেবন করবেন না। এগুলি পাকতন্ত্রকে নষ্ট করে দেয়, যার ফলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়।
৫. চা ও কফি যতটা সম্ভব কম পান করুন।
৬. নিয়মিত ২০-২৫ মিনিট যোগাসন করলে পেটের অঙ্গগুলি সঠিক ভাবে কাজ করার শক্তি পায়।
৭. রাতের খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এর ফলে পাকতন্ত্র ভালো থাকে ও তাড়াতাড়ি খাবার হজম হয়।
৮. ওয়াইন ও কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস পান করবেন না।
৯. ধীরে ধীরে ও ভালো ভাবে চিবিয়ে খাবার খান।
১০. দিনে তিন বার খাবার খাওয়ার পরিবর্তে কয়েক ঘণ্টা অন্তর অল্প অল্প খান। এই মিনি মিল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়বেন না।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-07-26 13:03:19
Source link
Leave a Reply