স্মৃতি ধরে রাখতে আপনার সঙ্গে ক্যামেরার বিকল্প নেই। একটা সময় ছিল যখন অ্যানালগ ক্যামেরার ব্যবহারই ছিল বেশি। এসব ক্যামেরার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে ডিজিটাল ক্যামেরার দিকে। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরা স্পর্শকাতর হওয়ায় এর ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। আলোকচিত্রী আক্কাস মাহমুদ জানালেন, ‘ক্যামেরার ব্যবহার যত বেশি, এর ক্ষতির আশঙ্কাও তত বেশি। তবে সাবধান থাকলে ক্যামেরা নিয়ে চিন্তা নেই। এসব ক্যামেরা একটু এদিক-ওদিক হলেই বিড়ম্বনা। পাছে ক্যামেরার জন্য ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি!’
ক্যামেরার যত্ন নিয়ে কথা বলেছেন আক্কাস মাহমুদ ও বাংলাদেশে ক্যানন ক্যামেরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেএনএন অ্যাসোসিয়েটের জেনারেল ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল সাফী। ক্যামেরার যত্নে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করুন।
ক্যামেরার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো পানি। তাই ক্যামেরা ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন এটি কোনোভাবেই পানির সংস্পর্শে না আসে। একই সঙ্গে ধুলোবালি থেকেও ক্যামেরাকে দূরে রাখতে হবে।
ডিজিটাল ক্যামেরা বহনের ক্ষেত্রে ভালো ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। বড় বা পেশাদারি কাজে ব্যবহূত ক্যামেরা যদি বেশি দূরের পথে ভ্রমণের জন্য বহন করতে হয়, সে ক্ষেত্রে ক্যামেরার সঙ্গে নরম কাপড় পেঁচিয়ে ব্যাগে ভরতে হবে। এতে আঘাত লেগে ক্ষতি হওয়ার ভয় থাকবে না।
ক্যামেরার লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক লেন্স থেকে অন্য লেন্স বদলাতে হবে দ্রুত। এর ফলে এতে ধুলোবালি ঢোকার আশঙ্কা কম থাকে ও লেন্স ভালো থাকে।
লেন্স নরম কাপড় দিয়ে সাবধানে পরিষ্কার করতে হবে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় ব্লোয়ার মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করলে। এতে যেমন হাতের স্পর্শ লাগবে না, তেমনি ঝুঁকিও থাকবে না।
ব্যবহারের পর ক্যামেরা থেকে ব্যাটারি খুলে রাখতে হবে। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেমোরি কার্ড থেকে ছবি স্থানান্তর করতে হবে। কারণ মেমোরি কার্ডে ভাইরাস থাকায় ছবি মুছে যেতে পারে।
ক্যামেরায় ব্যাটারি চার্জ কম দেখালে ক্যামেরা ব্যবহার না করাই শ্রেয়। কেননা, এ রকম অবস্থায় ক্যামেরা ব্যবহার করলে ব্যাটারিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ব্যবহারের পর ক্যামেরার ব্যাটারি ফেলে না রেখে রিচার্জ করে রাখলে ব্যাটারিটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
কম্পিউটারে ছবি নেওয়ার সময় কার্ডরিডার ব্যবহার না করে ক্যামেরার সঙ্গে থাকা কেব্ল ব্যবহার করাই উত্তম। এতে ভাইরাস আক্রমণের আশঙ্কা কম থাকে।
ক্যামেরাটি ধুলোবালিহীন ও ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে এবং প্রতি ছয় মাস অন্তর সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে লেন্স পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে।
ক্যামেরায় যেকোনো ত্রুটি দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ভালো কোনো সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান।
ক্যামেরার যত্নে ওপরের বিষয়গুলো মেনে চলুন। এতে আপনার ক্যামেরা ভালো থাকবে দিনের পর দিন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০৯, ২০১০
Leave a Reply