হাইলাইটস
- Corona সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি, তারই মধ্যে হদিশ মিলল আর একটি নতুন স্তন্যপায়ী প্রাণী ঘটিত ভাইরাসের।
- এই ভাইরাসের নাম Monkey B Virus, বি ভাইরাস বা ম্যাকানাইন হার্পিসভাইরাস ১ বি ভাইরাস।
- Macaque বাঁদরের থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। এক প্রজাতির ছোট লেজ বিশিষ্ট ম্যাকাক বাঁদর ছাড়াও শিম্পাঞ্জি, ক্যাপুচিন বাঁদরও B Virus দ্বারা সংক্রমিত হয়ে পড়তে পারে, এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
Monkey B Virus কী?
হিউম্যান হার্পিসভাইরাসেস: বায়োলজি, থেরাপি অ্যান্ড ইমিউনোপ্রোফিল্যাকেসিস নামক গ্রন্থ অনুযায়ী B Virus বা সেরোকপিথেসিন হার্পিস ভাইরাস ১ বাঁদরের মধ্যে এক ধরনের আলফাহার্পিস ভাইরাস এনডেমিক। যা নন-হিউম্যান হার্পিসভাইরাসের মধ্যে সাধারণত দেখা যায় না। কারণ কোনও ফরেন হিউম্যান হোস্টের মধ্যে এটি স্বতন্ত্র ভাবে নিউরোট্রপিক ও নিউরোভাইরুলেন্ট। বায়োমেডিক্যাল রিসার্চের কাজে ব্যবহৃত ম্যাকাক বাঁদরদের অসাবধানতাবশত হ্যান্ডেল করলে ব্যক্তি এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে।
১৯৩৩ সালে প্রথম B Virus সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। সে সে সময় এক ল্যাবরেটরির কর্মচারীকে বাঁদর কামড়ে দেয়। সেই কামড় সেরে উঠলেও অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ব্যক্তি। প্রথমে জ্বর জ্বর ভাব থেকে শুরু হয়, তার পর সেই ব্যক্তির মধ্যে মেলাইটিস ক্রমশ বাড়তে থাকে। ওই ল্যাব কর্মচারীর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ্যে আসার ১৫ দিনের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।
Monkey B Virus-এর লক্ষণ
প্রতি বছর বাঁদরের কামড় খাওয়ার নানান ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও মানব দেহে B Virus সংক্রমণ অত্যন্ত বিরল। ফ্লু ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণের মতোই এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন— জ্বর, কাঁপুনি, পেশীতে ব্যথা, ক্লান্তি ও মাথাব্যথা। এ ছাড়াও শ্বাসকষ্ট, বমি পাওয়া, বমি, পেটে ব্যথা, হিচকিও এই সংক্রমণের অন্যতম লক্ষণ। আবার যে স্থানে বাঁদর কামড়ায় সেখানে ছোট ছোট ফোসকা দেখা দেয়।
এই সংক্রমণের সঠিক সময় চিকিৎসা না-করলে তা ক্রমশ মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই দুই অংশে প্রদাহ শুরু হয়। পাশাপাশি ক্ষতস্থানের আশপাশে নিউরোলজিক ও ইনফ্ল্যামেটরি লক্ষণ দেখা যায়। পেশীতে সমন্বয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেন ড্যামেজ হতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে এই ভাইরাস। এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
Monkey B Virus–এর ট্রান্সমিশন
১৯৩৩ সালে প্রথম এই ভাইরাসটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ২৪ জনেরও বেশি ব্যক্তি এর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এঁদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ১২ বছরের মধ্যে। অধিকাংশ লোকই বাঁদরের কামড় খেয়ে বা খামচানোর কারণে আক্রান্ত হয়েছেন। আবার কোনও কাঁটা অংশ বা সূঁচের মারফৎ বাঁদরের শরীরের ফ্লুইড বা টিস্যু মানব শরীরে প্রবেশ করলে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।
এই বি ভাইরাসটি ম্যাকাক বাঁদরের লালা, মল, মূত্র, মস্তিষ্ক বা স্পাইনাল কর্ডের কলায় উপস্থিত থাকে। স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে এই ভাইরাসটি বেশ কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
প্রথম Monkey B Virus কেস রিপোর্ট করল চিন
সম্প্রতি চিন এই ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনা প্রকাশ্যে আনে। জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের এক পশু চিকিৎসকের এই বি ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২৭ মে মৃত্যু হয়েছে। প্রচণ্ড বমি, বমি বমি ভাবের মতো লক্ষণ দেখা গিয়েছিল ওই পশু চিকিৎসকের মধ্যে। চিনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে সমগ্র বিশ্ব এখনও লড়াই চালাচ্ছে এবং সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, তারই মাঝে আর একটি নয়া ভাইরাস স্বাভাবিক ভাবেই কপালে চিন্তার ভাজ ফেলছে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-21 09:34:31
Source link
Leave a Reply