নগরের রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ে নজরকড়া সব গাড়ি। গাড়ি কেনার পর গাড়ির মালিকের প্রয়োজন হয় পছন্দসই একটি নম্বর প্লেটের। একটি মাইক্রোবাসের মালিক আরিফুর রহমান খান বলেন, ‘দুই মাস আগে গাড়িটি আমি কিনেছি। কিন্তু সময়ের অভাবে নেমপ্লেট করাতে পারিনি। এত দিন কাগজে নম্বর লিখে কাজ সেরেছি। আজ এসেছি স্থায়ী একটি নেমপ্লেট বানাতে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুন্না বলেন, ‘গতকালই বাবা বাইকটা কিনে দিয়েছেন। তাই দেরি না করে তাতে অনটেস্ট লেখার জন্য আজই একটি তৈরি নেমপ্লেট কিনতে এসেছি।’ এ রকম অনেক লোক প্রতিদিনই গাড়ির নেমপ্লেট অর্ডার কিংবা তৈরি করার উদ্দেশ্যে আসেন নেমপ্লেট তৈরি করার দোকানগুলোয়।
নম্বর প্লেটের রকমফের
কারিগরেরা ক্রেতার পছন্দের নকশা অনুযায়ী যেকোনো ধরনের নেমপ্লেট তৈরি করে দেন। সাদামাটা ডিজাইন হলে খরচটা অনেক কম পড়ে। আর নকশা যদি সম্পূর্ণ নতুন বা নিজের পছন্দসই হয়, তাহলে খরচটা একটু বেশি পড়তে পারে বলে জানান ঢাকার মহাখালীর আজিজ আর্ট দোকানের স্বত্বাধিকারী মো. আজিজ। তিনি আরও জানান, নেমপ্লেট ফরমায়েশ দিয়ে তৈরি করা হলে এবং জরুরি ডেলিভারি নিলে খরচটা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। জানা যায়, গাড়ির নম্বর প্লেটের মধ্যে এসএস প্লেট, ধাতব এবং আলো জ্বালানো প্লেটের চাহিদা এখন বাজারে সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ব্যক্তিগত গাড়ির নেমপ্লেট হয় দুটি। তার মধ্যে সোনালি রঙের চেইনসহ নেমপ্লেট হলে খরচ পড়বে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা (এক জোড়া)। আর একটার দাম পড়বে এক হাজার থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা। চেইন ছাড়া হলে পড়বে ৩০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা (এক জোড়া), একটা ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা। চেইনসহ আলো জ্বালানো প্লেট পাওয়া যাবে এক হাজার থেকে ছয় হাজার টাকায় (এক জোড়া), একটি সাদামাটা প্লেটে বানালে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকার মধ্যে।
গাড়ির নেমপ্লেট আপনি যেখান থেকেই বানান না কেন একটু কষ্ট হলেও তাদের দিয়েই গাড়িতে সংযুক্ত করে নেওয়া ভালো। না হলে মাপে গরমিল হতে পারে। রাজধানীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় পাওয়া যাবে নম্বর প্লেটের দোকান। এ ছাড়া যেতে পারেন পুরানা পল্টন, মহাখালী (টাঙ্গাইল) বাসস্ট্যান্ড, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড, গুলশান ১ ও ২ নম্বর গোলচত্বর, উত্তরা (আজমপুর) বাসস্ট্যান্ডের নামকরা সব দোকানে।
আনিসুর রহমান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০৯, ২০১০
Leave a Reply