হাইলাইটস
- খুশকির দিকে নজর দিতে গিয়ে হয়তো রোজকার চুল ওঠার দিকটি অনেকেই খেয়াল রাখেন না।
- প্রতিবারই শ্যাম্পু করার আগে ভাগে খুশকি চলে গেলেই চুল পড়া বন্ধ হবে। কিন্তু আখেরে তা হয় না।
- এদিকে রাসায়নিক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে করতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে চুল পড়া আরও বাড়তে থাকে।
চুল বা মাথার তালুর চামড়ার এই অস্বাভাবিকতাকে বেশিরভাগ মানুষই চুলের সমস্যা বলে মনে করেন। কিন্তু আসলে এগুলি রোগের উপসর্গ। শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলেই সাধারণত চুল বা মাথার তালুর ত্বকের সমস্যা যেমন চুল পড়া, খুশকি অকালপক্কতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আর এর থেকে বাঁচতে গেলে রোগ নির্মূল করতে হবে গোড়া থেকে। তারও আগে জেনে নেওয়া দরকার কোন কোন রোগের উপসর্গ হতে পারে এই চুলপড়া বা মাথার ত্বকের সমস্যা।
খুশকি
মাথায় খুশকি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কম বেশি প্রায় সকলেই এই খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন। মাথার তালুর ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়েই সাধারণ এই সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে এটি নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু অত্যাধিক পরিমাণে খুশকি হলে সাবধান। চিকিৎসকদের মতে মাথার তালুর ত্বকে ছত্রাক হয়ে এরকম হয়। ত্বকের পক্ষে এটি ঠিক নয়। অবশ্য এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বক, স্ট্রেস, ওজন বৃদ্ধি, ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় কারণে এগজিমার কারণেও খুশকি হতে পারে।
হলদে খুশকি
অনেকের তালুতেই চিটচিটে হলদেটে খুশকি হয়। সেবরহিক ডারমাটিটিস নাম একধরনের ত্বকের সমস্যার কারণে এই হলদে খুশকি হয়। এই খুশকি চুলের পক্ষে খুবই খারাপ। এর ফলে অত্যাধিক পরিমাণে চুল ঝরে। মাথার তালুতে তৈলাক্তভাবের কারণেই এই সমস্যা হয়ে থাকে। হরমোনের পরিবর্তন, ছত্রাক কিংবা পার্কিনসনের মতো স্নায়ুঘটিত রোগের উপসর্গ হতে পারে এটি। অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।
চুল পড়া
দিনে ৭০ থেকে ১০০টি চুলপড়া স্বাভাবিক। তবে সবসময় যে চুল পড়া মানেই ভয়ের তা কিন্তু নয়। চুল ঝরার মাস তিনেকের মধ্যে নতুন চুল গজায়। পুরোটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। কিন্তু স্বাভাবিকের থেকে বেশি চুল পড়লেই কিন্তু সাবধান হন। পেটের সমস্যা, ওষুধ কিংবা টীকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, সন্তান প্রসবের পর, অপারেশ, স্ট্রেস, অবসাদ, থাইরয়েড ইত্যাদির কারণে চুল পড়ে।
পুরুষের টাক পড়া
পুরুষের চুলপড়া বা টাক পড়ার সমস্যা প্রায় ঘরে ঘরে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টাক পড়ার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাথার তালুর মাঝ থেকে টাক পড়তে শুরু হয়। বংশগত টাকের সমস্যা থাকলে আলাদা কথা কিন্তু তা না হলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চুলে শুষ্কতা এবং ডগা চেরা
শরীরের পুষ্টির কারণে চুল শুঙ্ক হযে যেতে পারে। ভিটামিন এ, প্রোটিন, আয়রন ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক চুলের জন্য প্রয়োজনীয়। শরীরে যে কোনও একটির অভাব দেখা দিলেই চুল শুষ্ক হতে থাকে। শরীরের ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকলে চুলের ডগা চেরার সমস্যা দেখা দেয়।
কয়েকটি পরামর্শ
– চুলের সমস্যা দেখা দিলে তা অবহেলা করবেন না বা অযথা বিজ্ঞাপনের চক্করে পড়ে রাসায়নিক শ্যাম্পু ব্যবহার বন্ধ করুন।
– চুলে অ্যামোনিয়া যুক্ত রং মাখা ভালো নয়।
– লোকের কথা শুনে চুলে যা খুশি প্যাক বা তেল মাখা একেবারেই উচিত নয়।
– চুলের সমস্যা দেখা দিলে উপযুক্ত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁর পরামর্শমতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তবেই ওষুধ বা তেল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
– শরীর সুস্থ থাকলেই চুল বা মাথার তালুর ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকবে। তাই পুষ্টিকর খাবার খান। প্রচুর পরিমাণে ফল, শাক, সবজি, জাল খান। নিয়মিত দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার খান।
– প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
– অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণেও চুলের সমস্যা দেখা যায়।
– ঘুম কম হলে চুলের সমস্যা হয়।
– পরিবেশ দূষণও চুল পড়া এবং তালুতে খুশকি হওয়া অন্যতম কারণ।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-07-20 11:45:29
Source link
Leave a Reply