বেকিং সোডা এমন একটি পণ্য যা আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করবে এবং ত্বকের অনেক সমস্যারও সমাধান করতে সাহায্য করবে। ত্বকের জন্য বেকিং সোডার বহুবিধ উপকারিতা আছে। শুধু ত্বকের জন্যই না বেকিং সোডা চুলের জন্যও অনেক উপকারী। তবে সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারীদের ত্বক ও চুলের ক্ষতি করতে পারে বেকিং সোডা। তাই আপনার বেকিং সোডায় অ্যালার্জি হয় কিনা তা পরীক্ষা করে নেয়া উচিৎ।
বেকিং সোডায় ব্যাকটেরিয়া নাশক, ছত্রাক নাশক ও প্রদাহ নাশক উপাদান আছে। কিন্তু বেকিং সোডা ব্যবহারের পরিমাণটাও জেনে নেয়া প্রয়োজন। ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে এক চিমটি সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ব্যবহার করাই যথেষ্ট। চলুন তাহলে ত্বকের জন্য বেকিং সোডা ব্যবহারের উপকারিতাগুলো কী কী সে সম্পর্কে জেনে নিই।
১। ব্রণ ও ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করে
ব্রণ একগুঁয়ে ধরণের হয়ে থাকে এবং ব্রণের দাগগুলো বেশ অস্বস্তিকর হয়। ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারের পরিবর্তে বেকিং সোডার সাহায্য নিতে পারেন। বেকিং সোডার অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান ব্রণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দাগহীন ত্বক পেতে সাহায্য করবে মাত্র ২ সপ্তাহে।
২। ব্ল্যাকহেডস দূর করে
সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ডের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমানোর মাধ্যমে ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ব্ল্যাকহেডস এর চারপাশের ত্বককে নরম করে বেকিং সোডা। ফলে খুব সহজেই ব্ল্যাকহেডস দূর করা যায়।
৩। সানবার্ন দূর করে
যত ভালো সানস্ক্রিনই ব্যবহার করুন না কেন সম্পূর্ণরূপে ত্বক তামাটে হয়ে যাওয়া এড়াতে পারবেন না। আপনার সাথে একটি ছোট বেকিং সোডার বক্স রাখুন। যদি সান বার্নের কারণে আপনার ত্বক চুলকায় ও জ্বালাপোড়া করে তাহলে ত্বকের সেই স্থানে বেকিং সোডা লাগান। এটি খুব দ্রুত ত্বককে শীতল করবে।
৪। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
না, বেকিং সোডা আপনাকে ফর্সা করবেনা। কিন্তু যেহেতু এটি একটি এক্সফলিয়েটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে তাই এটি স্কিন টোন ঠিক রাখতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ হতে সাহায্য করবে। বেকিং সোডা ত্বককে ড্রাই করে দেয় তাই এর সাথে অলিভ অয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
৫। ত্বকের যন্ত্রণা ও র্যাশ নিরাময় করে
বেকিং সোডা অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ বলে ত্বকের যেকোন ধরণের র্যাশ, চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া ও ফুলে যাওয়া নিরাময়ে ঔষধের মত কাজ করে। পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
৬। স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে
ফেসিয়াল স্ক্রাব তৈরি করার সময় ১ চিমটি বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। ত্বকে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন এবং কয়েকমিনিট পর কুসুন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক পুনরুজ্জীবিত হবে।
কিছু টিপস :
– ত্বকে কাঁটাছেড়া, পোড়া বা ক্ষত থাকলে বেকিংসোডা ব্যবহার করলে খারাপ হতে পারে।
– আপনি যদি বেকিং সোডার মাস্ক প্রথম ব্যবহার করেন তাহলে মুখে লাগানোর আগে হাতে বা পায়ের ত্বকে সামান্য পরিমাণ লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। যদি পুড়ে যাওয়া বা যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি হয় তাহলে দ্রুত ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
– ফেসমাস্ক ব্যবহারের পর যদি কিছুটা বেঁচে যায় তাহলে সেটি শরীরের অন্য স্থানে লাগান।
– বেকিং সোডা ফেসমাস্ক ব্যবহারের পরদিন ভিনেগার দিয়ে ত্বক ভিজিয়ে রাখুন। এতে ব্রণ নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।
– বেকিং সোডার ফেসমাস্ক যেনো চোখে না যায় সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। যদি চোখে চলে যায় তাহলে দ্রুত ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-19 23:20:10
Source link
Leave a Reply