হাইলাইটস
- ছোটবেলায় সন্তানকে দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে
- স্কিল গড়ে তোলা, সবই শেখান।
- কিন্তু সন্তান যখন টিনএজ সেক্ষেত্রে কথা কম, শোনা বেশি জরুরি
ছোট থেকে মা-বাবাই সন্তানকে বড় করে তুলবেন। কিন্তু কিছু বিষয় অবশ্যই তাঁদের মাথায় রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে এই স্বাধীনতা।
ছোটবেলায় সন্তানকে দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে স্কিল গড়ে তোলা, সবই শেখান। কিন্তু সন্তান যখন টিনএজ সেক্ষেত্রে কথা কম, শোনা বেশি জরুরি। কারণ এসময়ে তাঁর নিজস্ব এক সত্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফলে, ওদের বলতে দিন, আপনি শুনুন বেশি।
প্রত্যেক সম্পর্কেই একটা গণ্ডি আছে। বয়ঃসন্ধির সন্তানের সঙ্গে নিজের ‘বাউন্ডারি’ সেট করে নিন। এখনও অনেক বাচ্চা বাবা-মায়ের সঙ্গে শোয়! এটা কিন্তু মোটেও কাম্য নয়। পাঁচ-ছ’বছর বয়সের পর আলাদা শুতে দিলেই ভাল। মায়েরা সচেতনভাবে সন্তানের ডায়েরি, ফোন, চিঠি পড়বেন না। এই ছোটখাট বিষয়গুলো কিন্তু বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের চাওয়া-পাওয়াকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
মা বা বাবা সন্তানের কাছে রোল মডেল। মা যা করছেন সেটির ব্যাপারে বললে বা সন্তানকে সেই কাজটি করতে বললে দ্বন্দ্ব অনেক কমে। যেমন ধরুন, আপনি চান যে সন্তান বই পড়ুক। অথচ আপনি নিজে বই পড়েন না। এমনটা করলে কিন্তু সন্তান আপনার কাছ থেকে শিখবে না। ছোটরা বড়দের দেখেই বড় হয়। আপনার জীবন যদি হয় নিয়ন্ত্রিত তাহলে সন্তানও তাই শিখবে।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল প্রত্যাশা। অনেকসময় নিজেদের মধ্যে আলোচনা না করেই সন্তানের উপর প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দেন মা-বাবারা। একইসঙ্গে পিয়ার প্রেশারও রয়েছে। হয়তো, কোনও ছেলে সন্তান বড় হয়ে মেক-আপ আর্টিস্ট হতে চায় কিংবা ডিজাইনার! কিন্তু মা মেনে নিতে পারেন না, তিনি হয়তো তাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অফিসার হিসেবে দেখতে চান। এটা কিন্তু মায়ের নিজস্ব ‘ক্রাইসিস’, তাঁর ইচ্ছেগুলোকে তিনি সন্তানের উপর চাপিয়ে দিতে চান।
প্রশংসা করাও জরুরি। সন্তানের ভালো কাজে প্রশংসা করুন, তাকে উৎসাহ দিন। নিয়মিত যদি মা-বাবারা সন্তানের ভাল গুণগুলো তাকে বলেন, তাহলে ও বুঝবে যে মা-বাবাও তার কাজ লক্ষ করেন। এধরনের গঠনমূলক ভাবনায় সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।
একসঙ্গে সময় কাটানো খুব জরুরি। এতে নিজেদের মধ্যেকার বোঝাপড়া ভালো হয়। সেই সঙ্গে যখন খুশি সন্তানের ঘরে ঢুকে যাবেন না। হতে পারে সে কোনও জরুরি কাজ করছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোমে অনেক সময়ই জরুরি মিটিং চলে। অফিসের প্রয়োজনীয় ফোন আসে। তাই কে ফোন করেছে, কেন করেছে সব সময় এই নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। আপনার তরফে কোনও ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই সন্তানকে সরি বলুন। সেই সঙ্গে সব সময় অন্যের সঙ্গে সন্তানকে তুলনা করবেন না। পাশের বাড়ির জন খুব ভালো আর আপনার সন্তান খারাপ এরকম মনোভাব রাখবেন না। বা সেই কথা সব সময় তাকে বলবেনও না। নিজের ব্যস্ততার ফাঁকে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। সম্পর্ক ভালো হবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-16 13:09:06
Source link
Leave a Reply