সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হল চোখ। চোখের সৌন্দর্য উপর নির্ভর করে মুখের আকর্ষনীয়তা। চোখের নিচে কালি পড়ার মত আরেকটি চোখের আরেকটি সমস্যা হল চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া। প্রায় সব বয়সী মানুষেরা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিভিন্ন কারণে চোখের নিচ ফুলে যেতে পারে। ঘুম কম বা ঘুমের সমস্যা হওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অতিরিক্ত কান্না, বংশগত, অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খাওয়া, হরমোনের ইমব্যালেন্স, সাইনাসের সমস্যা, ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস ইত্যাদি। চোখের ফোলাভাব ওষুধ অথবা বিউটি ট্রিটমেন্টে দূর করা কিছুটা কষ্টসাধ্য। নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন এবং কিছু ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।
১। টি ব্যাগ
দুটি টি ব্যাগ ফ্রিজে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এবার টি ব্যাগ দুটি চোখের পাতার নিচে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর এটি সরিয়ে ফেলুন। এটি দিনে কয়েকবার করুন। গ্রিন অথবা ব্ল্যাক টি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এটি চোখের চারপাশ এবং নিচের ফোলাভাব দূর করার সাথে সাথে চোখের চারপাশের ফোলাভাব দূর করে থাকে।
২। ডিমের সাদা অংশ
দুটি ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটে নিন। ফেনা উঠে আসলে এর সাথে সামান্য পানি মিশিয় নিতে পারেন। ছোট ব্রাশ অথবা কাপড় অথবা আঙ্গুল দিয়ে ডিমের সাদা অংশ চোখের নিচ এবং চারপাশে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহার করুন এটি। ডিমের সাদা অংশ ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি চোখের চারপাশে বলিরেখা পড়াও রোধ করে থাকে।
৩। ঠান্ডা চামচ
সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী একটি উপায় হল ঠান্ডা চামচ। ৫ থেকে ৬টি চামচ ফ্রিজে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। চামচের গোল অংশটুকু চোখের উপর ধরে রাখুন কয়েক মিনিট। চামচ গরম হয়ে গেলে আগের চামচটি সরিয়ে নতুন আরেকটি চামচ চোখের উপর রাখুন। এটি ত্বক টানটান করে চোখের চারপাশের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে থাকে।
৪। শসা
চোখের কালি দূর করতে শসা এবং শসার রস বেশ কার্যকরী। চোখের ফোলাভাব দূর করতেও এটি অনেক কার্যকর। পাতলা করে শসা কেটে নিন। এবার শসা টুকরোগুলো ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। চোখের নিচে শসার টুকরো রেখে দিন। শসার টুকরো গরম হয়ে গেলে ফেলে দিন। এটি দিনে কয়েকবার করুন।
এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার এবং প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। ক্যাফিন এবং কার্বোনাটেড জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-15 09:44:54
Source link
Leave a Reply