হাইলাইটস
- পিউরিন যুক্ত খাবার হজম করতে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড নামক প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ নিঃসৃত হয়।
- এই ইউরিক অ্যাসিডকে কিডনি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয়।
- কিন্তু রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে কিডনি এই অ্যাসিডটিকে পরিশোধিত করে শরীর থেকে নির্গত করতে অক্ষম থাকে।
উল্লেখ্য ইউরিক অ্যাসিড কিডনির ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এর ফলে কিডনি শরীরের টক্সিক পদার্থগুলিকে পরিশোধিত করতে পারে না এবং কিডনিতে নোংরা জমে যায়। এর থেকে ভবিষ্যতে স্টোনের সমস্যা দেখা দেয়।
কিডনি স্টোন কী?
ইউরিনে ক্যালশিয়াম অক্সালেট, ইউরিক অ্যাসিড, ফসফেট, ক্রিস্টিনের মতো খনিজ লবন বৃদ্ধি পেলে কিডনির অভ্যন্তরীণ অংশে ক্রিস্টল তৈরি হতে শুরু করে। এগুলিকেই কিডনি স্টোন বলা হয়। বালি কণার মতো ক্ষুদ্র অথবা গল্ফের বলের মতো বড় আকারের হতে পারে এই কিডনি স্টোনগুলি।
কিডনি স্টোনের লক্ষণ
কিডনিতে স্টোন হলে বার বার প্রস্রাব পায়। প্রস্রাবের সময় জ্বালা করা, ব্যথা হওয়া এমনকি দুর্গন্ধ যুক্ত গাঢ় রঙের প্রস্রাবও কিডনির স্টোনের অন্যতম লক্ষণ। এ ছাড়াও পেটে ব্যথা হয়। খাওয়া-দাওয়ায় অযত্নও কিডনি স্টোনের অন্যতম কারণ। নুন ও অন্যান্য মিনারেল একে অপরের সংস্পর্শে এলে তা স্টোনে পরিণত হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত ধরনের খাবার-দাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত, যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
যে খাবার খাবেন না
ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে নিজের খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত করুন। ডাল, দুধ ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলুন। আবার দেশী ছোলা, রাজমা, কাবুলি ছোলা, মটর খাওয়া উচিত নয়। এ ছাড়াও ব্রকোলি, মাশরুম, রেড মিট, মিষ্টি ফল, পেস্ট্রি, বার্গার খাবেন না।
মাছ, মাংস প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আমিষ খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই মাছ, মাংসও খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন। অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন কিডনিতে বিপরীত প্রভাব বিস্তার করে। কারণ এর ফলে ইউরিনের মাধ্যমে প্রয়োজনাতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালশিয়াম শরীর থেকে নির্গত হয়ে যায়। অন্য দিকে প্রোটিন যুক্ত খাবার দাবারে উপস্থিত পিউরিনের কারণে শরীরের এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং স্টোন তৈরি হতে পারে।
কিডনি স্টোনের সমস্যা হলে খাবারে নুনের পরিমাণ কমিয়ে দিন। টমেটোর রস, প্যাকেটজাত খাবার খাবেন না। প্যাকেটজাত খাবারে অধিক পরিমাণে নুন থাকে।
ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেলে এই ঘরোয়া উপায় তা নিয়ন্ত্রণে করতে পারেন—
১. ব্ল্যাক চেরির জুস ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কম করে। কিডনি স্টোনের সমস্যা থাকলে এই জুস পান করে উপকার পেতে পারেন। ব্ল্যাক চেরিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি গুণ বর্তমান থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড কম করতে সাহায্য করে।
২. ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে এবং কিডনিতে স্টোনের সমস্যা দেখা দিলে অধিক পরিমাণে জল পান করুন। এর ফলে ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব কমে এবং তা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
৩. অ্যাপেল সিডার ভিনিগারও ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি গুণ শরীরে ক্ষারীয় অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-14 17:12:46
Source link
Leave a Reply